জলমহাল ইজারায় কারা অগ্রাধিকার পাবেন, জানালেন ভূমিমন্ত্রী

 

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধুর ‘জাল যার জলা তার’ নীতিকে সামনে রেখে জলমহাল ইজারার ক্ষেত্রে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে নীতিমালায় সংযুক্ত করার ব্যাপারে কাজ করছে সরকার।
শুক্রবার (২৮ জুন) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এ তথ্য জানান।
ঐতিহাসিক ১৬৯তম মহান সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস সামনে রেখে উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের সংবিধানেই বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করেছেন। পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতিটি জাতীয় নীতিমালায় দেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, সমতল ভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত নাগরিক সমাজের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবির আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর উপস্থাপন করা হবে।
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কথা উল্লেখ করে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, তার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা বিশ্বে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর জন্য এক মর্যাদাকর অধ্যায়। ১৮৫৫ সালে সাঁওতাল বিদ্রোহ ভারতে উপনিবেশবিরোধী আন্দোলনে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে এবং ভারতবর্ষের জাতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করেছিল।
তিনি বলেন, সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ পরিকল্পনার উদ্দেশ্য দেশের সব নৃগোষ্ঠীভুক্ত নাগরিকের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন।
উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি হিংগু মুরমুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. জিয়াউর রহমান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মৃণ্ময় চক্রবর্তী, ভারতের সাঁওতাল পরগনা ফিল্ম অ্যান্ড আর্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক ব্লেস ইমানুয়েল ট্রুডো প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ সৈন্য ও তাদের দোসর অসৎ ব্যবসায়ী, মুনাফাখোর ও মহাজনদের অত্যাচার-নিপীড়ন ও নির্যাতনের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের চার ভাই সিদু-কানহু-চান্দ ও ভাইরোর নেতৃত্বে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
১৮৫৬ সালের নভেম্বর মাসে তা শেষ হয়। সাঁওতালরা তির-ধনুক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করলেও ইংরেজ বাহিনীর হাতে ছিল বন্দুক ও কামান। যুদ্ধে ইংরেজ সৈন্যসহ প্রায় ১০ হাজার সাঁওতাল যোদ্ধা মারা যান।
যুদ্ধে সিদু-কানহু-চান্দ ও ভাইরো পর্যায়ক্রমে নিহত হলে ১৮৫৬ সালের নভেম্বর মাসে যুদ্ধ শেষ হয় ও বিদ্রোহের পরিসমাপ্তি ঘটে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো. আনোয়ার হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.