জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় অর্থ-প্রযুক্তি হস্তান্তর করুন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: সুইডেনের ‘স্টকহোম+৫০’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাব তুলে ধরে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অর্থ ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ শুক্রবার (০৩ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এদিন জলবায়ু ঝুঁকির বিষয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের করণীয় শীর্ষক একটি আন্তঃপ্রজন্মীয় গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেন ড. মোমেন। এ সময় তিনি তরুণ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ, জলবায়ু সহনশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলো তুলে ধরেন।
এছাড়া জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রশাসক ও গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের (জিসিএফ) নির্বাহী পরিচালক অ্যাচিম স্টেইনারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ড. মোমেন। ইউএনডিপি প্রশাসক প্যারিস চুক্তির প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি ও বৈশ্বিক জলবায়ু কর্মকাণ্ডে নেতৃত্বের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বৈঠকে ড. মোমেন আকস্মিক বন্যার জন্য আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা তৈরিতে ইউএনডিপির সহায়তা চান।
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও সুইডেন একসঙ্গে কাজ করবে। এই লক্ষ্যে উভয় দেশ আরো সহযোগিতা জোরদারে সম্মত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান লিন্ডের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ড. মোমেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সবেমাত্র ঘানার কাছে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) প্রেসিডেন্সি হস্তান্তর করেছি, যা ৫৫টি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জোট। আমরা সিভিএফ-ট্রয়কার অংশ হিসেবে দুর্বল দেশগুলোর স্বার্থে প্রচার চালিয়ে যাবো।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে উপকূলীয় এলাকার বাস্তুচ্যুত মানুষের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। এছাড়া সুইডেনকে জলবায়ু অভিযোজন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, উদ্ভাবন, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং সবুজ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ‘স্টকহোম+৫০’ বৈঠকে অংশ নিতে সুইডেনে তিন দিনের সফরে রয়েছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.