তিন ভায়ের জমজমাট ইয়াবা ব্যবসায়

ছবি Online

 

বিটিসি নিউজ ডেস্ক : ২০ হাজার পিছ ইয়াবাসহ উত্তরা  থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)  দু্ই ভাই সুজন ও ফরহাদকে । এই ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৩০ লাখ টাকা। আর তিন ভাইয়ের ফ্ল্যাট থেকে জব্দ করা হয়েছে আরও নগদ ২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।

স্নাতক পাস আবুল হাশেম (৩০) ও তাঁর ভাই উচ্চ মাধ্যমিক পাস সুজন হোসেন (২৩) এক সময় ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। তাঁদের আরেক ভাই অষ্টম শ্রেণি পাস ফরহাদ হোসেন (২৫) আগে নোয়াখালীতে গ্রামের বাড়িতে কৃষি কাজ করতেন। এখন তিন ভাইই পরিবার নিয়ে ঢাকার উত্তরার বহুতল ভবনে বাস করেন। ভাড়া দেন ৫০ হাজার টাকা।

রোববার সুজন ও ফরহাদকে ঢাকার আদালতে হাজির করে ডিবি এক প্রতিবেদন দিয়ে বলছে, হাশেম, সুজন ও ফরহাদ তিন ভাই কয়েক বছর ধরে কক্সবাজার থেকে ইয়াবার চালান ঢাকায় এনে জমজমাট ব্যবসা করছেন। তাঁদের সঙ্গে কারা জড়িত খুঁজে বের করতে দুই ভাইকে তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

তিনজনের বাবা ছিলেন হকার
মাদক ব্যবসার অভিযোগ থাকা এই তিনজনের বাবার নাম বিল্লাল হোসেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। অনেক আগে থেকে তিনি ঢাকায় থাকেন। রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় ফুটপাতে হকারি করতেন। পরিবার নিয়ে থাকতেন আশকোনাতে। বিল্লাল হোসেন এখন এই তিন ছেলের সঙ্গে উত্তরার ছেলেদের ফ্ল্যাটে থাকেন। ২০ হাজার পিছ ইয়াবাসহ যখন তাঁর দুই ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন বিল্লাল হোসেন ওই বাসাতেই ছিলেন।

দুই ভাইকে গ্রেপ্তার অভিযানে অংশ নেওয়া ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. মাহবুবুল আলম বলেন, বিল্লাল হোসেনের ছেলে সুজন এর আগেও মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল। এই তিন ভাই বেশ কয়েক বছর ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে।

তিন ভাইয়ের বাসায় ইয়াবা ব্যবসা
পুলিশ বলছে, এই তিন ভাইয়ের মধ্যে নেতা হলেন আবুল হাশেম। কক্সবাজারের বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ইয়াবার চালান আনেন ঢাকায়। এ কাজে তাঁরা নোয়াখালীকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করেন। আর তার ভাই সুজন ও ফরহাদ ঢাকার পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে ইয়াবা বিক্রি করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মুক্তার হোসেন বলেন, উত্তরার ওই ফ্ল্যাটে মাদক রাখতেন তিন ভাই। তাঁদের ফ্ল্যাটে মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা ছিল।

গ্রেপ্তার অভিযানে অংশ নেওয়া একাধিক ডিবি কর্মকর্তা জানান, শনিবার নোয়াখালী থেকে ইয়াবার চালান বাসে করে আনেন সুজন ও ফরহাদ। তবে তাঁদের ভাই আবুল হাশেম নোয়াখালীতেই থেকে যান। ভাইদের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর শোনার পর হাশেম গা ঢাকা দিয়েছেন।

ডিবির সহকারী কমিশনার মাহবুবুল আলম বলেন, ভাইদের গ্রেপ্তার খবর শোনার পর থেকে হাশেমের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তবে হাশেমকে যে কোনো সময় গ্রেপ্তার করা হবে।

মাহবুবুল আলম আরও বলেন, সুজন ও ফরহাদদের জিজ্ঞাসা করে জানতে পেরেছেন, মাদক ব্যবসা করে অনেক টাকা বানিয়েছেন। এই ডিবি কর্মকর্তা মনে করছেন, হাশেমদের পুরো পরিবার মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.