জবাবদিহীতা নিশ্চিতে তথ্য অধিকার আইন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-যা বিশ্বের কোথাও নেই – প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: জবাবদিহিতা ও তথ্যের অবাধ প্রবাহের জন্য বাংলাদেশে তথ্য অধিকার আইন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-যা বিশ্বের কোথাও নেই। একমাত্র বাংলাদেশেই গণমাধ্যমকর্মীদের তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্যই প্রধানমন্ত্রী এই আইনটি করেন। এই আইনের ফলে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রশাসন বা অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তথ্য দিতে বাধ্য। এছাড়াও প্রেস কাউন্সিলে মামলা ও নিষ্পত্তি হলে সাংবাদিকদের হয়রানি কমবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সার্কিক হাউস মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের আয়োজনে ও জেলা তথ্য অফিসের সহযোগিতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আরও বলেন, বর্তমানে সাংবাদিকদের অনেক মামলা প্রেস কাউন্সিলে না হয়ে আদালতে হচ্ছে। এতে সাংবাদিকদের হয়রানী হয়। সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট ও নীতি নিয়ে প্রেস কাউন্সিলে বিচার হওয়া উচিত মনে করলে তাদেরকেই এনিয়ে দাবি তুলতে হবে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় আটকের আগে প্রেস কাউন্সিলের অনুমতির আইন করতে পারলেও অনেক হয়রানি কমবে। এটা হলে গভীর রাতে সাংবাদিকদের আটক হতে হবেনা। ফলে প্রকৃত সাংবাদিকদের সম্মান বাঁচতো। তিনি বলেন, দেশের সম্মানজনক ১৪ সদস্যের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী পরিচালনা পর্ষদ (কমিটি) আছে। এই কমিটিতে দেশের স্বনামধণ্য ব্যক্তিবর্গ সাংবাদিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ভুল হলে তিরস্কারের ক্ষমতা রয়েছে প্রেস কাউন্সিলের। তিনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে করা কর্মশালায় অংশ গ্রহণকারী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। সাংবাদিকদের কল্যাণে এবং মান উন্নয়নে কাজ করছে প্রেস কাউন্সিল। অচিরেই সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরী করে পরিচয়পত্র দেয়া হবে বলেও জানান বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম।
এছাড়া সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব (অতিরিক্ত সচিব) শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ‘হলুদ সাংবাদিকতা’ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বর্তমানে দেশের মিডিয়া হাউসগুলো এবং কর্মরত প্রতিনিধিদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্যও তুলে ধরেন। বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা এবং সাংবাদিকদের সংশ্লিষ্ট করনীয় বিষয়েও কথা বলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব (অতিরিক্ত সচিব) শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আবুল কালাম সাহিদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য অফিসার মোঃ আব্দুল আহাদ।
উন্মুক্ত আলোচনায় জেলায় হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও প্রকৃত সাংবাদিকতা ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন এবং জেলার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তসলিম উদ্দিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও এনটিভি’র স্টাফ রিপোর্টার শহীদুল হুদা অলক, ‘দৈনিক চাঁপাই দৃষ্টি’র সম্পাদক এমরান ফারুক মাসুম, চ্যানেল আই’র জেলা প্রতিনিধি ও ‘দৈনিক চাঁপাই দর্পণ’র সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু, সাংবাদিক ডাবলু কুমার ঘোষ, আমিনুল ইসলাম, রফিকুল আলম, এ কে এস রোকন, সাজেদুল হক, হোসেন শাহনেওয়াজ, জহুরুল ইসলাম, নাদিম হোসেন, মোঃ মোরসালিন, মোঃ জাকির হোসেন পিংকু, মোঃ আজিম উদ্দিনসহ অন্যরা। উপস্থিত ছিলেন-সাপ্তাহিক সীমান্তের কাগজের সম্পাদক মোঃ জাফরুল আলম, এটি এন বাংলা’র নাসিম মাহমুদ, গৌড় বাংলার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোঃ আজিজুর রহমান শিশির, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, দৈনিক চাঁপাই দর্পণ’র নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ ইসাহাক আলীসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্টও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ। শেষে প্রশিক্ষনে অংশ গ্রহনকারী সাংবাদিকদের সনদপত্র প্রদান করা হয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.