জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির ৭০% কাজ সম্পন্ন মেয়র শাহনেওয়াজ


নাটোর প্রতিনিধি: ঘনিয়ে আসছে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসভা নির্বাচনের সময়। ডিসেম্বরেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই নির্বাচন। এবারের নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় সমর্থন ও সর্বসাধারনের জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুইবারের নির্বাচিত পৌর মেয়র মো. শাহনেওয়াজ আলী।

পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের আ’লীগ দলীয় তৃণমুল পর্যায়ের নেতাকর্মিদের সাথে নিয়ে মেয়র শাহনেওয়াজ আলীর পক্ষে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সভা, সমাবেশে এবং নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভোট প্রার্থনা করছেন সমর্থকগণ। তাঁকে নিয়ে চা ষ্টল, হোটেল, রেষ্টুরেন্টেতো চা চুমুকের সাথে চলছে আলোচনার ঝড়।

জনপ্রিয়তা ও জনগণের ভালোবাসায় আবারো তাঁর নির্বাচনী মাঠে কড়া নাড়ছে দলীয় মনোনয়ন। তাঁর কর্মি সমর্থকেরা সেই সম্ভাবনায় এমনটাই বলছেন সবখানে।

এসব প্রসঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ প্রতিবেদককে এক বিশেষ স্বাক্ষাৎকার দেন মেয়র শাহনেওয়াজ।

এক প্রশ্নোত্তরে আ’লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মির বরাত দিয়ে মেয়র শাহনেওয়াজ আলী বলেন, আমাদের সব থেকে বড় সার্থকতা আমরা আওয়ামীলীগ করি। দলীয়ভাবে গুরুদাসপুর উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগসহ সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তারা সর্বদা আমার পাশে রয়েছেন।

পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ বলেন, আমি ২০১১ সালে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হই। জনগনের সাথে সুন্দর ব্যবহার, ছোটদের স্নেহ করা, আদব কায়দা মেনে চলার কারনে জনগন তাদের প্রয়োজনে আমাকে ভোট দিয়ে সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমার ইচ্ছা ছিলো দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচন করার।

২০১৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার অবস্থান দেখে সেই সুযোগ করে দিয়েছিলেন। আমি বিপুল ভোটে নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হই। পৌরসভার রাস্তাঘাট, ড্রেন, ব্রীজ-কালভার্ট সংস্কার ও নির্মানসহ প্রতিনিয়ত হাট বাজার পরিষ্কার রাখা, পৌরবাসীর জন্য পানির ব্যবস্থা, লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করেছি।

জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিতে মেয়র শাহনেওয়াজ বলেন, বিগত নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইতিমধ্যে আমি পৌরসভার ৭০% কাজ সম্পন্ন করেছি। বাকি কাজগুলো চলমান রয়েছে। করোনা, অতিবৃষ্টিসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে কাজ বন্ধ ছিলো। ইনশাআল্লাহ আগামী মাসের মধ্যেই সকল কাজ সম্পন্ন করে ফেলব।

এছাড়াও জনগণের জীবনযাত্রা ও পৌর এলাকার নাগরিকসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পৌরসভা ও নিজ তহবিল থেকে আধুনিক পৌরভবন, পৌরসভার অভ্যন্তরে বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়নে অর্থ দেওয়া হয়েছে।

পৌরসভার রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করে ‘খ’ শ্রেণি থেকে ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে। আবার করোনা মহামারির সময়ে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি অসহায় মানুষদের জন্য “শাহনেওয়াজ আলী মেয়র জনকল্যাণ ট্রাস্ট” স্থাপন করা হয়।

হোম কোয়ারেন্টাইনের বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী ও প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে দেওয়াসহ আম্ফান ঝড় ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের কেউ না খেয়ে থাকেনি। তাদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে জনসাধারণের মুখে ত্রাণকর্তা হিসেবেও অভিহিত হয়েছেন মেয়র শাহনেওয়াজ আলী।

আসন্ন নির্বাচনে নিজের অবস্থান নিয়ে মেয়র শাহনেওয়াজ বলেন, আমাকে হারানোর জন্য আবদুল কুদ্দুস এমপি অনেক প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। তবে আমি নৌকা প্রতীক পেলে আর এই ধুম্রজাল থাকবে না। সকল প্রার্থীতা সড়ে দাঁড়াবে এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনায় আছে।

এ ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। স্থানীয় সাংসদের বিষোদগারে মেয়র বলেন, উনি শুধু আমার বিরুদ্ধেই নয়, শেখ হাসিনার নৌকার বিরুদ্ধেই কথা বলেন। উনি ও উনার প্রার্থী নৌকা পেলে শাল কাঠের নৌকা হয়-আসল নৌকা হয়। আর আমরা নৌকা পেলে ভেন্না কাঠের নৌকা হয়, শেখ হাসিনার নৌকা নয়।

মেয়র মো. শাহনেওয়াজ আলী বলেন, দলমত নির্বিশেষে পৌরসভার সবাই এখন উন্নয়নের সুফল ভোগ করছেন। যা পৌরবাসী গত দুই যুগেও পায়নি। বিগত দিনের প্রতিশ্রুতির প্রায় শতভাগ পূরণ করেছি। নাগরিকদের কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করতে ও পৌরসভার মান উন্নয়নে আমার এবং কাউন্সিলরদের আন্তরিকতার কোনো কমতি নেই।

গুরুদাসপুর পৌরসভায় মাদক, সন্ত্রাস, ঘুষ, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজদের কোনো স্থান নেই। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে কার্যক্রম চালাচ্ছি। ইনশাল্লাহ দলীয় মনোনয়ন আমিই পাবো।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.