‘জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট’ পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের পাঁচজনকে আটকের

গাজীপুর প্রতিনিধি:  আজ শুক্রবার দুপুরে গাজীপুরের পোড়াবাড়িতে র‌্যাব-১ ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন।গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে জজ ও ম্যাজিস্ট্রেটের ভুয়া পরিচয় দিয়ে প্রতারণাকারী চক্রের পাঁচজনকে আটকের দাবি করেছে র‌্যাব।

আটককৃতরা হলেন, মাসুদ রানা, তার স্ত্রী গুলশান আরা লিজা, রাজু আহম্মেদ ও তার স্ত্রী আকলিমা আক্তার ও মোছা. তাছলিমা খাতুন।

র‌্যাব-১-এর কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আটককৃতরা বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বড় বড় কলকারখানা মালিকদের মোবাইল কোর্টের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।

আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১-এর একটি দল কোনাবাড়ী থানার  বাইমাইল হাজী কলোনীর নুরুল ইসলামের ছয়তলা বাসার অভিযান চালায়। এ সময় ওই বাসার তৃতীয় তলার পশ্চিম পাশে ফ্লাটে ভুয়া জেলা জজ ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দানকারীদেরকে আটক করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে ১৪টি মুঠোফোন এবং নগদ ৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-১-এর কোম্পানি কমান্ডার  বিটিসি নিউজকে জানান, র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। তারা জানিয়েছেন যে, তারা নিজেদের বিভিন্ন সময় জেলা জজ ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসকের ভুয়া পরিচয় দিতেন। এই পরিচয়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র, জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, ঊর্ধ্বতন বন কর্মকর্তা, ম্যানেজার জাতীয় ভাওয়াল উদ্যান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, রেঞ্জ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাদের নানা সময়ে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাতেন। এই কাজ করে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এই প্রতারক চক্রের সদস্য বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছে এবং তাদের প্রত্যেকেরই ৭ থেকে ৮টা করে বিকাশ নম্বর রয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.