জঙ্গিপুর আর সামসেরগঞ্জেও ঘাসফুলের জয় (ভিডিও)

বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি: জঙ্গিপুর আসনে তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন ৯২ হাজার ৪৮০ ভোটে জয়ী হয়েছেন। এদিন বিভিন্ন রাইন্ডেই এগিয়ে ছিলেন জাকির হোসেন। শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসলেন তিনিই।
২১তম রাউন্ডের শেষেও দেখা গিয়েছিল তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন ৭১ হাজার ৬৬৫ ভোটে এগিয়ে ছিলেন। ফলাফল সম্পূর্ণ হওয়ার পর দেখা যায় বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী প্রার্থীরা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন। জঙ্গিপুরে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন সুজিত দাস। আরএসপির প্রার্থী ছিলেন জানে আলম মিঞা।
তবে দশম রাউন্ড গণনার পর থেকেই আনন্দ উল্লাসে মেতেছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। আর ফলাফল তৃণমূলের অনুকূলে যেতেই এলাকায় শুরু হয়ে যায় মিষ্টিমুখ, আবীর খেলা। জাকির হোসেন বলেন, তৃণমূল মানেই শান্তি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জন্য এই জয়।
অন্যদিকে সামসেরগঞ্জেও এদিন বিভিন্ন রাউন্ডেই এগিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম। একাদশ রাউন্ড থেকেই সামসেরগঞ্জ বিজয় উল্লাসে মেতে উঠেছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। শেষ রাউন্ডের গণনার শেষে দেখা যায় ২৬ হাজার ১১১ ভোটে জিতে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এই জয় দিদির উন্নয়নের জয়। অন্যদিকে সামসেরগঞ্জে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন মিলন ঘোষ, সিপিএমের মোদাস্সর হোসেন ও কংগ্রেসের জইদুর রহমান। তবে এবার ২০১৬ সালের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান। ৭০ হাজার ৩৮টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। ১০হাজার ৮০০ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে বিজেপি। এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর সপ্তম দফার নির্বাচন হওয়ার আগেই  করোনায় মৃত্যু হয়েছিল সামসেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক ও জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর।
এই জন্যেই  ফলাফল ঘোষণার পরে তিনি দুটো আঙুল নয়, তিনটে আঙুল তুলে প্রতীকী বিজয় চিহ্ন দেখিয়েছিলেন তিনি। আসলে তখনও গণনা চলছিল সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর আসনে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুটি কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। তারই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মমতা। দিনের শেষে দেখা গেল দুটি আসনেই জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.