জঙ্গলমহল ২০২১-এ কোনদিকে

কলকাতা প্রতিনিধি:  জঙ্গলমহলে পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে তৃণমূল আবিষ্কার করেছে, জঙ্গলমহলে এই হারের পিছনে নেতাদের দুর্নীতিই দায়ী। রাজ্য সরকার বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের আওতায় আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করলেও তা বহুক্ষেত্রে মানুষের কাছে পৌঁছয়নি। তা ব্যবহার করে পঞ্চায়েত নেতারা দরিদ্রদের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছিলেন।


আদিবাসী মানুষেরাই এখন বলছেন, লোকসভা নির্বাচনে আমরা স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছি, দিদির বিরুদ্ধে নয়। পঞ্চায়েত নেতারা এখন তাদের অপকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন এবং দরিদ্রদের কাছে অর্থ ফেরত দিচ্ছেন। আমরা কখনই ভাবিনি যে এ জাতীয় ঘটনা ঘটতে পারে। এবার আমরা তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হতাশ করব না।
তাঁদের এই স্বীকারোক্তিতেই পরিষ্কার, দুর্নীতিপরায়ন মনোভাবের মাশুল দিতে হয়েছে তৃণমূলকে ৷ তৃণমূল ভুলের ফাঁদে জড়িয়ে সরে গিয়েছে জঙ্গলমহলের মানুষের কাছ থেকে। শাসকদলের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন আদিবাসী এবং কুর্মিরা। ওই অংশে ৬৩ শতাংশের বেশি ভোটার আদিবাসী-কুর্মি সম্প্রদায়ের। তাদের অধিকাংশ ভোটই বিজেপির পক্ষে গিয়েছিল।
এমতাবস্থায় ঝাড়গ্রামের মানুষের মনে ফের জায়গা করে নিতে এবার নতুন করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল ৷ লালগড়ের তৃণমূল ব্লক সভাপতি শ্যামল মাহাতো বলেন, “আমরা উন্নয়নে জোর দিয়েছি। উন্নয়ন দিয়েই আমরা আবার কামব্যাক করব। “দলের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের শনাক্তকরণ করেছে তৃণমূল এবং তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য।
রাজ্য সরকার বিদ্যালয়, সেতু, আইটিআই ইনস্টিটিউট, নতুন রাস্তা, দরিদ্রদের জন্য ঘর নির্মাণ এবং পানীয় জলের প্রকল্প তৈরি করছে। প্রবীণ, আদিবাসী এবং বিধবাদের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আদিবাসীদের কাছে এমন ধারণা বলবৎ ছিল যে, দিদি আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তা তা ভোলেননি বলেই, আবার তৃণমূলের পক্ষেভোট দেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন জঙ্গলমহলের মানুষ।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে এখন থেকেই পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। এই মিশনে সবার আগে জঙ্গলমহলের ভোটব্যাঙ্ক ফিরে পেতে জোর দিয়েছে। তৃণমূলের বিশ্বাস জঙ্গলমহলের মানুষ ফিরে এসেছে তাদের দিকে। ২০১৯-এ যাই হোক, ২০২১-এ তারা ভোট দেবে তৃণমূল কংগ্রেসকেই। তার একমাত্র কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.