ছয় বছর পর শ্বশুরবাড়ি থেকে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার


নাটোর প্রতিনিধি: নিজ জন্মস্থানে কয়েকজন মিলে একজনকে খুন করার পর কেটে গেছে ৬টি বছর। ওই ঘটনায় মামলা হলে তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন মামলার আইও।
ওই অভিযোগপত্রে তিনি ছিলেন ১ নম্বর আসামি। ঘটনার পর থেকে বার বার স্থান পরিবর্তন করায় তাকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। অবশেষে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করল র‌্যাব-৫।
গ্রেপ্তারকৃত ওই আসামির নাম ময়েজ উদ্দিন (৫০)। তিনি রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার বহরইল এলাকার মফিজ উদ্দিন ওরফে পালানোর ছেলে।
নাটোর র‌্যাব অফিসের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার মন্ডলপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কোম্পানী কমান্ডার জানান, ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর আসামি ময়েজ উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন শহীদুল (৪১) নামে একজনকে হত্যা করে ধানক্ষেতে ফেলে রাখে। ওই ঘটনায় শহীদুলের স্ত্রী সফেরা বেগম বাদী হয়ে ২৫ নভেম্বর তানোর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর থেকে ময়েজ উদ্দিন পলাতক ছিল। পুলিশ তদন্ত করে ময়েজ উদ্দীনকে ১ নম্বর আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করে মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে ।
তিনি আরো জানান,বাগাতিপাড়ার মন্ডলপাড়ায় গোপনে বিয়ে করে ওই আসামি। ওই শ্বশুর বাড়িতে সে মাঝে মাঝে থাকত। গোপন সংবাদে বিষয়টি জানতে পেরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি ময়েজ উদ্দিন শহীদুলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি করেন র‌্যাবের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ওই আসামিকে তানোর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.