ছোট্ট দেশ বারমুডার হয়ে অলিম্পিকে ইতিহাস গড়লেন ডাফি

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: মাত্র ৬৩ হাজার মানুষের বসবাস বারমুডায়। জনসংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের গৌরব অর্জন করলো তারা।
গতকাল মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ট্রায়াথলনে স্বর্ণ জিতে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন ফ্লোরা ডাফি। দেশের হয়ে অলিম্পিকে প্রথম স্বর্ণ জিতেছেন। একই সঙ্গে অলিম্পিকে বারমুডার দ্বিতীয় পদক জয়ের ৪৫ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার চলমান টোকিও অলিম্পিক গেমসের চতুর্থ দিনে মেয়েদের সাঁতার, সাইক্লিং ও দৌড় মিলে হওয়া ট্রায়াথলনে ১ ঘণ্টা ৫৫ দশমিক ৩৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেরা হন ডাফি। ৩৩ বছর বয়সি এ অ্যাথলেটের আগে ১৯৭৬ সালে মন্ট্রিল অলিম্পিক গেমসে পুরুষদের হেভিওয়েট বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতে বারমুডাকে প্রথম পদক এনে দিয়েছিলেন ক্লারেন্স হিল। ট্রায়াথলনে গ্রেট ব্রিটেনের জর্জিয়া টেইলর-ব্রাউন ১ ঘণ্টা ৫৬ দশমিক ৫০ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কেটি জ্যাফার্স ১ ঘণ্টা ৫৭ দশমিক ৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন।
স্বর্ণ জয়ের আনন্দে ডাফি বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, পুরো বারমুডা এখন আনন্দে ভাসছে। তাই এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু, হ্যাঁ, এটাই আমার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু আমি জানতাম এটা আমার চেয়ে বড় কিছু।’
টিনেজার হিসেবে গ্রেট ব্রিটেনের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন ডাফি। ২০১৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসে বারমুডার প্রথম নারী হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বারমুডার প্রথম স্বর্ণপদক জয়ী, প্রথম নারী পদক জয়ী হতে পেরে আমি গর্বিত। আশা করি, এটা দেশের সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে যে, এটা খুব সম্ভব।’
ট্রায়াথলনে ৫১ কি.মি. পাড়ি দিয়েছিলেন ডাফি। যা তার দেশ বারমুডার দৈর্ঘ্যের (৪০ কিমি.) চেয়ে ১১ কিমি. বেশি। প্রতিযোগিতা শুরু হতে ১৫ মিনিট বিলম্ব হয়েছিল। চারটি ধাপ অতিক্রম করতেই সবাইকে টপকে যান ডাফি। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। অলিম্পিকের প্রস্তুতিতে ডাফির কোচ ছিলেন তার স্বামী। তিনি বলেন, ‘রাস্তার পাশে আমি আমার স্বামীকে দেখেছিলাম, সে আমার কোচ এবং তাকে শুধু একটু হাসি উপহার দিয়েছিলাম।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.