বাগমারা প্রতিনিধি: আজকের ছেলে-মেয়েরা পিতা-মাতাকে মর্যাদা দিতে চায় না, বয়স্কদের সম্মান করতে চায় না। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। এই সংকটজনক অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন ধর্মীয় ও নৈতিকতা চর্চা ও সামাজিক জ্ঞান। আমরা যে যে ধর্মের অনুসারী। আমাদের উচিত সেই ধর্মের জ্ঞান ও চর্চা ছেলে মেয়েদের মাঝে বিস্তার করা। তবেই আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুনাগরিক করে গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
বুধবার সকালে বাগমারা উপজেলা সদন ভবানীগঞ্জ শিশু পার্ক চত্তরে বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ বাগমারা উপজেলা শাখার উদ্যোগে ভগবান শ্রীকৃঞ্চের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের নানা বয়সী নারী পুরুষের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আপনাদের শিশু সন্তানদের বেশি বেশি করে মন্দিরে নিয়ে যাবেন। ধর্মীয় চর্চা করাবেন। নৈতিকতা শেখাবেন। তবেই আদর্শ মানুষ গড়ে তোলা সম্ভব। আজকে মাদক বলেন, সামাজিক শিষ্টাচার বলেন সব কিছুর মূলে রয়েছে এই ধর্মীয় শিক্ষা। সামাজিক নানা অবক্ষয় দূর করতে ধর্ম চর্চার কোন বিকল্প নেই।
বাগমারা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার সিংহের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক শীতেন্দ্রনাথ প্রামানিক ও যুগ্ম সম্পাদক নিত্যানন্দ সরকারের পরিচালনায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সভাপতি অনীল কুমার সরকার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ,এফ,এম আবু সুফিয়ান, সহকারি কমিশনার(ভুমি) সুমন চৌধুরী, বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বিশ্ব নাথ প্রামানিক, সত্যজিৎ রায় তোতা, পরিমল মন্ডল, পূজা উদযাপন পরিষদ ভবানীগঞ্জ পৌর শাখার সম্পাদক অরুণ কুমার।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার আবুল, দপ্তর সম্পাদক নূরুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবি, ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক, আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্যের এক পর্যায়ে টেলি কনফারেন্স মাধ্যমে স্থানীয় সংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান শেষে একটি র্যালী বের হয়ে ভবানীগঞ্জ বাজার গোডাউন মোড় ও কলেজ মোড় প্রদক্ষিন করে শেষে শিশু পার্ক চত্ত্বরে এসে মিলিত হয়। পরে সবার মাঝে প্রসাদ (দুপুরের খাবার) বিতরণ করা হয়।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.