ছাত্রলীগের বিতর্কিত নেতাদের অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরিবর্তনের নির্দেশ : শেখ হাসিনা

ফাইল ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা প্রতিনিধি:  ছাত্রলীগের সদ্য ঘোষিত ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাওয়া বিতর্কিত নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের পরিবর্তন করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে ডেকে এ নির্দেশ দেন।

ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিটিসি নিউজকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ তালিকায় থাকা কয়েকজন বিতর্কিত নেতার নাম কালি দিয়ে চিহ্নিত করে তাদের পরিবর্তন করার নির্দেশ দেন।

তালিকায় যদি আরও কোনো বিতর্কিত নেতা থাকেন খোঁজ-খবর নিয়ে তাদেরকেও বাদ দিতে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রসঙ্গত: গত সোমবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঘোষিত ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে বিতর্কিত ও অবৈধ আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা।

একপর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে তাতে হামলা চালিয়েছে সদ্য পদপ্রাপ্তরা। এতে ছাত্রলীগের হল কমিটির সাবেক নেতাসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকেলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বিক্ষোভ করেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভের একপর্যায়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে যান পদবঞ্চিত এসব নেতাকর্মীরা।

পদবঞ্চিত এসব নেতাকর্মীরা সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের অনুসারী। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন সদ্য পদপ্রাপ্ত নেতাকর্মীরা। মধুর ক্যান্টিনে মুখোমুখি অবস্থান নেন পদবঞ্চিত ও পদপ্রাপ্তরা।

পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন শুরু করতে গেলে পদপ্রাপ্ত নেতাকর্মীরা স্লোগান দিলে সংবাদ সম্মেলন শুরু করতে বাধা পায় পদবঞ্চিতরা।

এই সময় পদপ্রাপ্তদের মধ্যে থেকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইনকে শিবির বলে আখ্যায়িত করেন। এটা শুনে জাকিরের অনুসারীরা সংবাদ সম্মেলন রেখে দাঁড়িয়ে এই কথার প্রতিবাদ জানান।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনের ব্যানার ছিড়ে ফেললে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। ছাত্রলীগের সদ্য পদ পাওয়া যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান আল ইমরান হামলার নেতৃত্ব দেন।

একপর্যায়ে চেয়ার ছুড়ে মারতে থাকে পদপ্রাপ্তরা। এতে পদবঞ্চিত ১০ নেতাকর্মী আহত হন। হামলায় আহত হন ছাত্রলীগের সাবেক উপঅর্থ সম্পাদক ও ডাকসুর সদস্য তিলোত্তমা শিকদার, ডাকসুর ক্রীড়া সম্পাদক তানভীর ভুঁইয়া শাকিল, ডাকসুর সদস্য ও কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদা পারভীন, সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী শায়লা, ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ও রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি বিএম লিপি আক্তার।

এ সময় চেয়ারের আঘাতে রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী দিশার মাথা ফেটে যায়। পরে আহত অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.