ছাইয়ে তলিয়ে গেছে গ্রাম, চাপা পড়েছে গাড়ি

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে মাউন্ট সেমেরু আগ্নেয়গিরি থেকে সৃষ্ট অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বেশ কিছু গ্রাম ছাইয়ের নিয়ে চাপা পড়েছে। ছাইয়ের নিচে চাপা হয়েছে যানবাহনও।
বিবিসি আজ রবিবার (০৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
মাউন্ট সেমেরু আগ্নেয়গিরি থেকে গতকাল শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া অগ্ন্যুৎপাতে এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৪জন নিহত এবং অনেক মানুষ আহত হয়েছে বলে দেশটির আপদকালীন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
মাউন্ট সেমেরুর অগ্ন্যুৎপাত থেকে সৃষ্ট বিশাল ছাইয়ের স্তুপের নিচে পুরো তলিয়ে গেছে বেশ কিছু গ্রাম। বাড়িঘরের ছাদ সমান ছাই সরিয়ে উদ্ধারকর্মীকের কাজ করতে হচ্ছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঘন ধোঁয়ার মেঘ সূর্যকে সম্পূর্ণ ঢেকে দেওয়ায় দিনের বেলাতেও আকাশ রাতের মত ঘন অন্ধকার হয়ে আছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অন্তত ৫৭ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। আহতদের অনেকেই গরম ছাই ও লাভায় মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছেন।
অগ্নিদগ্ধদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে ইন্দোনেশিয়ার বিপর্যয় মোকাবেলা সংস্থার (বিএনপিবি) মুখপাত্র জানিয়েছে।
বিবিসি জানায়, অগ্ন্যুৎপাতে লুমাজাং প্রদেশের অন্তত ১১টি গ্রাম ছাইয়ের নিচে সম্পূর্ণ চাপা পড়েছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে পালানো গ্রামবাসীদের অনেকেই মসজিদ এবং অস্থায়ী কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, পেছনে বিশাল ছাইয়ের ঢেউ ধেয়ে আসায় স্থানীয় বাসিন্দারা পালাচ্ছেন।
ওই এলাকা থেকে মালাং শহরের কাছের একটি সড়ক ও সেতু বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তা তরিকুল হক বা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনের ভলক্যানিক অ্যাশ অ্যাডভাইজরি সেন্টার (ভিএএনসি) জানিয়েছে, ছাই  মাউন্ট সেমেরুর শিখর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রবাহিত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
আগ্নেয়গিরি  থেকে সৃষ্ট ছাইয়ের সম্ভব্য বিপদ আমলে নিয়ে ভিএএনসি বিমান সংস্থাগুলোকে ওই এলাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে।
মাউন্ট সেমেরু ইন্দোনেশিয়ার ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে অন্যতম। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ওই আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাত হয়েছিল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.