চোরাই অটোভ্যানসহ গ্রেফতার-২, আদমদীঘিতে ভাংড়ি ব্যবসার আড়ালে চলছে চোরাই কারবার

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘিতে লোহার লক্করের ভাংড়ি ব্যবসার আড়ালে চলছে ব্যাপক হারে চোরাকারবারি। পুলিশ ও সাধারন মানুষের চোখ ফাঁকি দিয়ে উপজেলা আনাচে কানাচে গড়ে উঠা প্রায় দু”শতাধিক ভাংড়ি ব্যবসাীরা চালায় এ ব্যবসা।

গতকাল সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় পুলিশ আদমদীঘি কুসুম্বী বাজার এলাকায় অবস্থিত এক ভাংড়ি দোকানে অভিযান চালিয়ে একটি চোরাই ব্যাটারী চালিত অটোভ্যান উদ্ধার ও দুই ভাংড়ি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: আদমদীঘির কুসুম্বী গ্রামের মনছুর আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৪) ও একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে হাসান আলী (৩৪)। এ ঘটনায় আদমদীঘি থানায় উল্লেখিত দুইজন ও ওই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মিজানুর (৩৭)কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আদমদীঘি উপজেলা সদর. সান্তাহার, মুরইল বাজার, কুসুম্বী বাজার, ঢাকা মোড়, চাঁপাপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে লোহা ও প্লাষ্টিকের ভাংড়ি দোকান। এসব দোকানের কিছু নিযুক্ত ব্যক্তি গ্রাম মহল্লা থেকে ভাংড়ি লোহা লক্কর, টিনের ছাট, নলকুপের পাইপ, প্লাষ্টিক. নাট বল্টুসহ প্রভৃতি সামগ্রী অল্পমূল্যে কিনে তাদের ভাংড়ি ব্যবসায়ী মহাজনের নিকট বিক্রি করে থাকে। এই ভাংড়ি ব্যবসার আড়ালে এক শ্রেনীর ভাংড়ি দোকানদার (ব্যবসায়ী) চোরাই লোহা রেলের পাত নাট বল্টু, ব্যাটারী চালিত অটোভ্যান, টমটমসহ নানা ধরণের লোহা লক্করও কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে। ভাংড়ি ব্যবসার আড়ালে চোরাই মালামাল কেন বেচা চলছে।
এমন গোপন সংবাদের ভিক্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় আদমদীঘি থানার উপ পরিদর্শক প্রদীপ কুমার আদমদীঘি কুসুম্বী বাজারে অবস্থিত সাদ্দাম হোসেন ভাংড়ি দোকানে অভিযান চালিয়ে একটি চোরাই ব্যটারী চালিত অটোভ্যান উদ্ধার করেন। এসময় ওই ভাংড়ি দোকান ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন ও হাসান আলীকে গ্রেফতার করলেও অপর আসামী মিজানুর রহমান পালিয়ে যায়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.