চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন ছাড়া মামলা হয়না গোদাগাড়ী থানায়! অবশেষে ২মাস পর মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ললিতা (ছদ্মনাম) (১৬) নামের এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ২ মাস পর এ অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা দয়ের করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর নানি শেফালি বেগম। (মামলা নম্বর ০৮-০৫/০৯/২০২২)। গত ২ মাস পূর্বে বেলা ১২টার দিকে দিগ্রাম জোড় সতিন পাড়া এলাকার তার নানির বাসায় ধর্ষণের শিকার হন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ হয়েছে।
অভিযুক্তর নাম জাহাঙ্গীর আলম (৩৬)। সে তিন সন্তানের জনক। গোদাগাড়ী থানার দিগ্রাম সতিন পাড়ায় তাঁর বাড়ি। তাঁর বাবার নাম খায়রুল ইসলাম। ধর্ষণের শিকা্র ওই কিশোরী জাহাঙ্গীরকে মামা বলে ডাকতেন।
এ ঘটনার পরও গত (১৩ জুন) সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে ওই কিশোরীকে মুখে গামছা বেধে একটি অটোতে করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার কোনো একটি বাসায় ১৮ দিন জিম্মি করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে লম্পট জাহাঙ্গীর।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের চাপে গত (১ জুলাই) দুপুর ৩টার দিকে বালিয়াঘাটা এলাকায় ওই কিশোরীকে ফেলে পালিয়ে যায় জাহাঙ্গীর। পরে তার নিজের মামা বিশু খবর পেয়ে কিশোরী ললিতাকে অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গোদাগাড়ী হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কতৃপক্ষ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ প্রদান করেন। সেখানে ৫দিন ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) চিকিৎসা নিয়েছেন কিশোরী ললিতা (ছদ্মনাম)।
এদিকে ২ মাস অতিবাহীত হলেও মামলা না হওয়ার কারণ জানতে কিশোরীর নানি সেফালি বেগম বিটিসি নিউজকে বলেন, ঘটনার পর থানায় যোগাযোগ করা হয়েছিল কিন্তু মামলাটি আদালতে করার পরামর্শদেন এসআই সাইদ। এছাড়া থানায় মামলা করতে হলে চেয়ারম্যনের প্রত্যয়ন সাথে নিয়ে আসতে বলেন তিনি।
সেফালি বেগম আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যানের লোকজন মিমাংসার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। একপর্যায় ভুক্তভোগী ললিতাকে (ছদ্মনাম)) সরকারের অশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি বাড়ি, নগদ ২৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণলংকার বানিয়ে দিবেন বলে আসস্থ্য করেন গোদাগাড়ি উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলাম।
তবে চেয়ারম্যান তিনি নিজেই স্বীকার করে বিটিসি নিউজকে বলেন, জাহাঙ্গীর একজন লম্পট। তার বিরুদ্ধে এধরণের একাধিক অভিযোগ রয়েছে অত্র গ্রামে।
মিমাংসার বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, কিশোরীর ইচ্ছা ছিলো জাহাঙ্গীরকে বিয়ে করার। তাই চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র। এছাড়া প্রলোভন দেখানোর বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। অন্যদিকে প্রত্যয়নের বিষয়ে এড়িয়েযান চেয়ারম্যন।
এব্যাপারে গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে জানান, ঘটনারদিন আমি এসআই সাইদকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে ভিকটিমের পরিবারকে থানায় আসতে বলি এবং এজাহার দায়ের করার পরামর্শ প্রদান করি। কিন্ত্র তারায় রাজি হননি মামলা করতে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি ইফতেখার আলম (বিশাল) / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.