চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মানবেতর জীবন-যাপন পার করছেন খেটে খাওয়া কর্মহীন মানুষ

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাস আসার পর থেকে সারা দেশের মতো ভালো নেই চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার দিন আনে দিন খায় মানুষ। চরম দু:সময় পার করছেন তারা। কাজ কর্ম না থাকায় পরিবারের মুখে কিছু তুলে দিতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে সব ক্ষেত্রে।
চাকরি হারিয়ে কর্মহীন হয়েছেন বহু মানুষ। তার মধ্যে সবচেয়ে করুণ এবং দুর্বিসহ সময় পার করছেন হতদরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষজন। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে দু:সহ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কঠিন এ সময় সরকারের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সবাইকে তাদের পাশে দাড়াতে হবে বলে মনে করছেন সমাজ বিশ্লেষক শিক্ষকসহ সচেতন মানুষ।
খেটে খাওয়া এই মানুষগুলোর দাবি তাদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে সরকার যেন অন্তত দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা করেন। অন্যথায় তাদেরকে না খেয়ে থাকতে হবে। তাদের সন্তান, মা বাবার মুখে দু’মুঠো খাবার তুলে দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
আরো অনেক দিনমজুর, খেটে খাওয়া হতদরিদ্র মানুষ আছেন যারা একদিন কাজ না করলে পেটে ভাত যায় না,পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হয় তাদের। সেই মানুষজনও করোনার সময় কর্মহীন হয়ে দিশেহারা। তারাও চেয়ে আছেন মানুষের দিকে, সরকারের দিকে।
উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা মাছপট্রি কাছে দেখা হয় বেশ কয়েকজন দিনমজুরের সাথে। তারা প্রতিদিন সকালে বাজারের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে জড়ো হয়ে বসেন কাজের সন্ধানে।
কয়েকজন শ্রমিক বিটিসি নিউজকে জানান, আমরা সব ধরণের কাজ করি। এখান থেকে আমাদের বিভিন্ন কাজের জন্য মানুষজন এসে তাদের কৃষিজমি, বাড়িতে কিংবা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যান। কিন্তু করোনা আসার পর থেকে আমরা অসহায় হয়ে গেছি। আমরা আসি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, কিন্তু আমাদের কেউ ডাকে না। করোনার ভয়ে আমাদেরকে কেউ বাসাবাড়িতে নিতে চায়না।
করিমন চালক শুকুর আলী বিটিসি নিউজকে বলেন, কাজ নেই চার মাস ধরে। বউ অন্যের বাসায় কাজ করতো। করোনা আসার পর তারও কাজ চলে গেছে। এখন ৬ সন্তান নিয়ে দিনকাটছে অর্ধাহারে অনাহারে।
তিনি বলেন, বাজারে বাজারে করিমন চালিয়ে বেড়াতাম, করোনার কারণে তাও বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু করিমন নিয়েও ভালো নেই। সারাদিন বসে বসে সময় পার করি। করোনা ভাইরাসের ভয়ে মানুষ করিমন ও উঠে না। এখন কোথায় যাবো, কি করবো বুঝে উঠতে পারছিনা।
নাজিম উদ্দিন বিটিসি নিউজকে বলেন, তিনি ব্রিজ মোড়ে বসে ফলমুল বিক্রি করতেন। কিন্তু কয়েকমাস ধরে তিনিও বেকায়দায়। এখন আগের মতো নেই বেচা কেনা। সকাল সন্ধ্যা মানুষের আনাগোনা না থাকায় বেচাকেনাও নেই। যারা আসেন তাদের অনেকে করোনা সংক্রমনের ভয়ে বাইরের কিছু খেতে নারাজ। এ অবস্থায় আমাদের মাথায় হাত।
কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ভুট্র বিটিসি নিউজকে জানান, মানুষজন কষ্টে রয়েছে আমরা বুঝতে পারছি। কিন্তু আমাদের কিছুই করার নেই।সরকারি বরাদ্ধকৃত খাদ্যসামগ্রী যা পাচ্ছি সাথে সাথে কর্মহীন মানুষের মাঝে বিতরণ করছি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি মোস্তাফিজ কচি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.