চুনারুঘাটে শিক্ষক ও ছাত্রীদের উপর হামলায় পলাতক আসামী গ্রেফতারের দাবীতে মানবন্ধন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:  হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ৬নং সদর ইউনিয়নের গোলগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও দুই ছাত্রীর উপর কথিত মেজর  ফুল মিয়া ও দপ্তরী জুয়েলের অমানবিক হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্কুলের কুমলমতি ছাত্র/ছাত্রী ও শিক্ষকবৃন্দ।

আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় স্কুলের ক্লাস বর্জন করে প্রতিবাদ ও মানবন্ধন অুনষ্ঠিত হয়। এসময় কুমলমতি শিক্ষার্থীরা হামলাকারী পলাতক আসামী গোলগাও গ্রামের মৃত লুৎফুর রহমানের ছেলে অত্র স্কুলের দপ্তরী বখাটে জুয়েল ও তার চাচা জোয়ারি হাতকাটা কাজলকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে ও গ্রেফতারকৃত কথিত মেজর ফুল মিয়ার বিচার দাবী করেন তারা।

এসময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানে তারা মিছিল করে মানবন্ধনে অংশ নেয়। তাদের বুকে নিজ হাতে লিখা নিরাপদে পড়তে চাই, সন্ত্রাস মুক্ত শিঙ্গাণ চাই, শৃঙ্খলামুক্ত বিদ্যালয় চাই, আমাদের জীবনের নিরাপত্তা চাই, আমরা নির্ভয়ে বিদ্যালয়ে আসতে চাই। বখাটে দপ্তরী জুয়েলের বরখাস্তসহ শাস্তিমুলক বিচার  চাই এসব স্লোগানে মুখরিত হয় বিদ্যায় প্রাঙ্গন। উক্ত মানবন্ধনে অংশ নেন শিক্ষার্থীদের অভিবাকসহ শিক্ষকবৃন্দ।

গোলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনা খাতুন বিটিসি নিউজকে বলেন, দপ্তরীর জুয়েল মিয়া নানা অপরাধের সাথে জড়িত তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। জুয়েলের বিরুদ্ধে  একাধিক মামলা রয়েছে। জুয়েল বিগত ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল একইএলাকার এক যুবতী নারীর বাড়িতে প্রবেশ করে জোড় পুর্ববক শ্লীলতাহানী ও চুরি অপরাধে  দীর্ঘ ২১দিন করাভোগ করে।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে ভুমি দখল নারী নির্যাতন, চাদাবাজীসহ নানা অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে কেহ কথা বলার সাহস পায়না। তারা এলাকার প্রভাবশালী। তাদের বিরুদ্ধে কেহ সাক্ষী দিলে তাদের বাড়ি ঘরে হামলাও ভাংচুর করে হত্যার হুমকি দেয়।

শিক্ষক শাহেনা বিটিসি নিউজকে বলেন, তিনি মামলা করার পর থেকে তার মানিত সাক্ষীসহ তার ছাত্রছাত্রী এবং তাদের পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। তাদের ভয়ে স্কুল প্রায় ছাত্র ছাত্রী অসছেনা।

ছাত্র/ছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে জুয়েল ও তার চাচা এবং তাদের দলবল। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগ দেয়ার পর আমি ভাল নেই যেকোন সময় জুয়েল কাজলসহ তাদের লোকজন আমাকে মেরে ফেলতে পারে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ রানা বলেন, অভিযোগ আমরা পেয়েছি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে, আমরা দ্রুত এর ব্যবস্থা গ্রহন করব।

এ বিষয়ে  বিদ্যালয়ের দপ্তরী  মো.জুয়েল মিয়া বিটিসি নিউজকে বলেন, আমার পারিবারিক বিষয়ে কয়েকটি মামলা রয়েছে তবে মামলা গুলি অপোষ হয়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে বিষয়টি এড়িয়ে যায়।

হাতকাটা কাজলের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এদিকে জুয়েল ও কাজল বাহিনীদের হুমকিতে আতঙ্কিত হয়ে কচিকাঁচা স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ঘটনার ৩য় দিনে অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত।

এলাবাসী মনে করেন যদি দপ্তরী জুয়েলকে বরখাস্ত না করা হয় তাহলে ছাত্র/ছাত্রীদের আতঙ্ক কাটবেনা দ্রুত তাকে বরখাস্ত ও শাস্তিমুলক ব্যবস্থার দাবী করছেন জেলা প্রসাসকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে।

এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে যেকোন সময় জুয়েল কাজল বাহিনীর হামলায় খুন জখমের আশংঙ্কা রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার উপজেলার গোলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কথিত মেজর (অবঃ) ফুল মিয়া গোলগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী আবদুল হান্নান রমিজের মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১০) স্কুলে অনুপস্থিতির কারনে তাকে স্কুল থেকে বের করে দিতে প্রধান শিক্ষিকা শাহিনা আক্তার (৪০) কে নির্দেশ দেন।

প্রধান শিক্ষিকা ওই ছাত্রীকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া অনিয়ম এবং এটি করতে পারবেন না বললে আওয়ামীলীগ নেতা ফুল মিয়া তেড়ে ওঠেন এবং প্রধান শিক্ষিকাসহ দুই ছাত্রীকে ডেকে এনে মারধর করেন।

এ ঘটনায় সাথেসাথে কতিথ মেজর ফুলমিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ জুনাইদ চৌধুরী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.