চীন সফরে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তিনদিনের সফরে চীন সফরে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। আগামী সপ্তাহেই তার চীন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। শুক্রবার বেইজিং এ সফরের কথা নিশ্চিত করেছে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শুক্রবার জানিয়েছেন যে, ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে মধ্যস্থতা করতে চীন প্রস্তুত। এ খবর দিয়েছে ডন। খবরে জানানো হয়েছে, বেইজিং এরইমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দারুণ সফলতা দেখিয়েছে।
ইরান ও সউদী আরবের মধ্যে গত মার্চে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। গত সাত বছর ধরে দেশ দুটি প্রক্সি যুদ্ধসহ নানা আঞ্চলিক বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিল। তবে চীনের মধ্যস্থতার পর এখন দুই দেশ একে অপরের বন্ধুতে পরিণত হয়েছে।
সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যায়, ফিলিস্তিনিরা যুক্তরাষ্ট্রকে আর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বিশ্বাস করছে না। এর থেকে তারা রাশিয়া ও চীনকে অধিক নিরপেক্ষ মনে করে। চীনের তরফ থেকেও এর আগে এই ইস্যুতে আগ্রহ দেখানো হয়েছে।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংই আগামী ১৩ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যে চীন সফরে আসার জন্য মাহমুদ আব্বাসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিয়াং শুক্রবার এই খবর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, মাহমুদ আব্বাসই হবেন এ বছর চীন সফর করা প্রথম আরব নেতা। চীন-ফিলিস্তিনের মধ্যেকার সুসম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই তার সফর আয়োজন করা হচ্ছে। ঐতিহাসিকভাবে আমরা বন্ধুপ্রতিম।
তিনি আরও বলেন, আব্বাস চীনের মানুষের পুরানো বন্ধু। চীন সবসময় ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারকে সমর্থন করেছে এবং তাদের জাতীয় অধিকার ফিরে পাওয়ার পক্ষে রয়েছে।
বেইজিং মধ্যপ্রাচ্যের সাথে তার সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। অঞ্চলটিতে দীর্ঘ সময় ধরে একতরফা প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন অবস্থার পরিবর্তন চায় বেইজিং।
শি জিনপিং গত ডিসেম্বরে সউদী আরব সফর করেছিলেন। সেখানে তিনি মাহমুদ আব্বাসের সাথেও দেখা করেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, ফিলিস্তিন সমস্যার একটি দ্রুত, ন্যায্য এবং টেকসই সমাধানের জন্য কাজ করবে চীন।
এ সপ্তাহে আবার সউদী আরব সফরে গিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এসময় তিনি সউদী আরবকে বুঝানোর চেষ্টা করেন যে, চীন-রাশিয়ার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বেশি পাওয়ার আছে সউদী আরবের।
তবে তিনি দাবি করেন যে, সউদী আরবকে ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে থেকে একটিকে বেছে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে না। ব্লিঙ্কেন ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে উত্তেজনা নিরসনের কথাও বলেন। তিনি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সম্ভাবনা নষ্ট না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে ২০১৪ সাল থেকেই ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে। গত এপ্রিল মাসে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং তার ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বলেছিলেন যে, তার দেশ শান্তি আলোচনায় সহায়তা করতে ইচ্ছুক।
তিনি ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকিকে বলেছেন যে, বেইজিং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনা পুনরায় শুরু করতে চায়। ওই সময় কিন গ্যাং ‘দুই-রাষ্ট্র সমাধান’ বাস্তবায়নের ওপরে জোর দেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.