চীন-মধ্য এশিয়া সম্মেলন: রাশিয়ার প্রভাব হারানো অঞ্চলে টেকসই বন্ধুত্ব স্থাপনে চীনের উদ্যোগ

 

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ শানসির রাজধানী জিয়ানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চীন-মধ্য এশিয়া সম্মেলন। বিশ্লেষকদের অনুমান, এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়নে থাকা এসব দেশগুলোতে নিজের প্রভাব বাড়াতেই চীনের এই উদ্যোগ। সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে চীন ছাড়াও মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানরা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এবং বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পৃথক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) শুরু হওয়া এ সম্মেলন চলবে শুক্রবার (১৯ মে) পর্যন্ত।
দুদিনের এই সম্মেলনে চীন ছাড়াও কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানের নেতারা অংশগ্রহণ করবেন। এই দেশগুলো চীনের কয়েক বিলিয়ন ডলারের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) অন্যতম অংশীদার।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইউরোপীয়-মধ্য এশিয়া বিষয়ক বিভাগের উপ-মহাপরিচালক ইউ জুন মঙ্গলবার (১৭ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর নেতারা একটি পারস্পরিক সহযোগিতা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে তাদের উদ্বেগের বিষয়ে মত বিনিময় করবেন। তিনি আরও বলেন, বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সম্মেলন এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যখন একই সময়ে জাপানের হিরোশিমায় বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-৭ এর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্লেষকদের অনুমান, এই সম্মেলনের বড় একটি অংশজুড়ে চীন এবং রাশিয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
এই সম্মেলনকে মধ্য এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এর মাধ্যমে চীন এসব দেশে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হবে। বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠে কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমারত তোকায়েভের মন্তব্যের মধ্য দিয়ে। বুধবার চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি জানান, বৈঠকটি চীনের সঙ্গে ‘স্থায়ী বন্ধুত্ব’ তৈরি এবং সুখ-দুঃখে একে অপরের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি নিয়েই শেষ হয়েছ।
তবে চীন মধ্য এশিয়ায় যতই নিজের প্রভাব বলয় বাড়ানোর চেষ্টা করুক না কেন তাতে রাশিয়ার প্রভাবের কোনো পরিবর্তন হবে না বলেই মনে করেন অনেক বিশ্লেষক। তাদের ধারণা, যেহেতু গত বছরই চীন এবং রাশিয়া ঘোষণা দিয়েছ, তাদের বন্ধুত্বের কোনো সীমারেখা নেই। তাই ধারণা করা যায়, চীন এমন কিছু করবে না যাতে রাশিয়ার স্বার্থে আঘাত লাগবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.