চীনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য কানাডার প্রধানমন্ত্রী’র

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য চীনকে দায়ী করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি পশ্চিমাবিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে চীনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রুডো বলেন,  পুঁজিবাদী অর্থনীতির গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো চায় নিজেদের ভিত শক্ত করতে। এ কারণে আমাদের মধ্যে এক ধরনের প্রতিযোগিতা চলছে। এ সুযোগ নিয়ে চীনের মিডল ক্লাসের উত্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমরা একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছি। আর চীন খুবই চতুরতার সঙ্গে আমাদের মুক্তবাজারে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় লেলিয়ে দিয়েছে। বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যেই এসব কথা বললেন ট্রুডো।
তিনি বলেন, একসঙ্গে কাজ করে ও দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আমরা ভালো করতে পারি; তা হলে চীন আমাদের নিয়ে খেলতে পারবে না এবং আমাদের একে অপরের কাছ থেকে আলাদা করতে পারবে না।
চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে সুর মিলিয়ে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠেয় শীতকালীন অলিম্পিক বয়কটের ঘোষণা দেয়।  চীন সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ তুলে তিনি এই ঘোষণা দেন। কানাডার ফাইভজি তারবিহীন নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ থেকে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হোয়াওইকে বাদ দেওয়ার চিন্তা করছে ট্রুডো প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে ২০১৮ সালে কানাডার পুলিশ চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা (সিএফও) মেং ওয়ানঝুকে আটক করার পর থেকেই বেইজিংয়ের সঙ্গে অটোয়ার সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
বেইজিং পরে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মাইকেল স্পেভর ও মাইকেল কভরিগ নামের দুই কানাডীয়কে আটক করে।
একে কানাডা ‘জিম্মি কূটনীতি’ অ্যাখ্যা দিলেও চীন তা উড়িয়ে দেয়। (সূত্র: ব্লুমবার্গের)। #  

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.