চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ জালে আটকা রাশিয়া

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্কএকদিকে ইউক্রেন অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্বকে সামলানোর চেষ্টা করছে রাশিয়া। পাশাপাশি দেশটি তার ক্ষমতা সম্প্রসারণের পরিকল্পনাও করে যাচ্ছে।
রাশিয়ার এমন কর্মকাণ্ডে চীনের এমন নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জিওপলিটিকা ইনফো।
ভ্যালেরিও ফ্যাবরি তার প্রতিবেদনে লিখেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের ছয় মাসের সংঘর্ষে চীন রাশিয়াকে তার নিজস্ব একটি বন্ধুত্বপূর্ণ জালে আটকে রেখেছে বলে মনে হচ্ছে।
কিন্তু একদিকে চীনের এই সমর্থন রাশিয়ার সাম্রাজ্যিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলোকে অব্যাহত রাখতে ধারণা দেয়। অন্যদিকে চীন বিপুল ছাড়ের শর্তে অধিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে রাশিয়ার কাছ থেকে।
ফ্যাব্রি’র ভাষ্যমতে, রাশিয়া এতদিনে বুঝতে শুরু করেছে যে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে দেশটির অবস্থান কৌশলগতভাবে চীনের কাছাকাছি নিয়ে আসতে পারে। রাশিয়ার জন্য প্রকৃত কৌশলগত প্রভাব হলো চীনের উপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যখন ইউক্রেন আক্রমণের জন্য সিদ্ধান্ত নিলেন তখন একমাত্র দেশ হিসেবে চীন রাশিয়াকে সমর্থন করেছিল। 
রাশিয়া ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘চীন-রাশিয়ান কূটনৈতিক সহযোগিতার কোনো শেষ নেই, রাশিয়া চীনের বন্ধু, আমাদের মধ্যে কোনো সীমানা রেখা নেই’
এদিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অস্বীকার করে ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে মস্কো। এছাড়াও গ্যাস ও তেল সরবরাহ নিয়ে ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কের বেশ অবনতি ঘটিয়েছে পুতিন।
অন্যদিকে বিভিন্ন দেশে কম মূল্যে তেল বিক্রি করছেন তিনি। এসব দিক থেকে চীনের উন্মুক্ত সমর্থনের মাধ্যমে নিজেকে শক্তিশালী মনে করছে রাশিয়া।
ফ্যাব্রি মার্কিন সামরিক ও প্রতিরক্ষা সংবাদ মাধ্যম ডিফেন্স ওয়ানের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা রাশিয়ার এই নির্ভরতাকে তাদের সুবিধার জন্য ব্যবহার করতে কোন প্রশ্ন তোলেনি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.