আজ সোমবার (০৯ মে) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান আসামিদের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্রাহাম লিংকন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাশেদ মিয়া, মোসলেম উদ্দিন, তছলিম উদ্দিন, মকবুল হোসেন, নুরু মিয়া, মোনাল মিয়া ওরফে মোন্নাফ, আ. কাদের এবং মিন্টু। তারা সবাই চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল এলাকার সড়কটারী গ্রামের বাসিন্দা।
নিহত যুবকের নাম নূরুন্নবী মিয়া (২০)। তিনি উপজেলার কাঁচকোল এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি রাতে সংঘটিত ওই হত্যাকাণ্ডের একদিন পর নিহতের বাবা বাদী হয়ে চিলমারী থানায় মামলা করেন। দীর্ঘ ১৮ বছর মামলার কার্যক্রম শেষে আদালত সোমবার আট আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি রাতে নূরুন্নবীর সঙ্গে আসামি রাশেদ তার মুদি দোকানের ভেতর ঘুমিয়েছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই রাতে নূরুন্নবীকে পরিকল্পিতভাবে দোকানের ভেতর ঘুমন্ত অবস্থায় গলায় মাফলার পেঁচিয়ে হত্যা করেন রাশেদ ও অন্য আসামিরা। পরেরদিন সকালে নিহতের ভাই আশরাফুল ইসলাম দোকানে গিয়ে নূরুন্নবীর মরদেহ দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে চিলমারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৯ জনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। পরে চাঁদ মিয়া নামে এক আসামির মৃত্যু হলে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত অপর আট আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি আব্রাহাম লিংকন। আর আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন ও সামসুজ্জোহা রুবেল।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.