চিকিৎসাসেবায় টরন্টোতে সেনাবাহিনী নিয়োগ

(চিকিৎসাসেবায় টরন্টোতে সেনাবাহিনী নিয়োগ–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কানাডায় করোনার ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রাদেশিক সরকার কখনো যৌথভাবে, কখনো সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন এবং অন্টারিও প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড বিরল ভূমিকা সম্পর্কে সবাই অবগত। যার দৃষ্টান্তের শেষ নেই।
সর্বশেষ ফোর্ড সরকারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে টরন্টোতে সেনাবাহিনী মোতায়েনে সম্মত হয় ফেডারেল সরকার। সব মিলিয়ে কানাডার সশস্ত্র বাহিনী টরন্টোতে নয়জন আইসিইউ নার্স এবং বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সেবায় তিনটি দল মোতায়েন করছে। প্রয়োজন অনুসারে পালাক্রমে কাজ করবেন তারা।
কানাডার জন নিরাপত্তামন্ত্রী বিল ব্লেয়ার বলেন, ‘ফেডারেল সরকারের তরফ থেকে ৬২ জন স্বাস্থ্যকর্মী টরন্টোর হাসপাতালগুলোকে সহায়তা করেছেন। কারাগারে অথবা ইনডিজিনাস সার্ভিস কানাডায় কাজ করা চিকিৎসক ও নার্সও রয়েছেন তাদের মধ্যে।’
দ্যা বেঙ্গলী টাইমস থেকে জানা যায়, কোভিড-১৯ মহামারির তৃতীয় ঢেউয়ের ব্যাপকতার মধ্যে কাজ শুরু করল তারা। ক্রিটিক্যাল কেয়ার নার্সও রয়েছেন এই টাস্কফোর্সে। কানাডিয়ান সেনাবাহিনীর মোট ৫৮ জন সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। আইসিইউ সেবাসহ সাময়িকভাবে তৈরি ফিল্ড হাসপাতালেও সেবা দেবেন তারা।
টাস্কফোর্সের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফ্রাঞ্জ কির্ক শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘টাস্কফোর্স যেসব কাজ করবে তার মধ্যে আছে রোগীর সেবা, রোগী ব্যবস্থাপনা। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে যেখানে প্রয়োজন সেখানে সানিব্রুকের কর্মীদের সঙ্গে যতটা সম্ভব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা। টাস্কফোর্সের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য কাজ করবেন তাঁবুতে। অবশিষ্ট এক-তৃতীয়াংশ আইসিইউতে কাজ করবেন।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ করা উপাত্ত অনুযায়ী, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ২ হাজার ২০১ জন অন্টারিওর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে আইসিইউতে আছেন ৮৮৩ জন। প্রদেশের মোট আইসিইউ শয্যার যা এক-তৃতীয়াংশ।
সানিব্রুকের বাইরে চালু করা ফিল্ড হাসপাতালটি টরন্টোতে এ ধরনের প্রথম হাসপাতাল। হ্যামিল্টনেও এ ধরনের হাসপাতালে রোগী ভর্তি শিগগিরই শুরু হচ্ছে। সানিব্রুক ফিল্ড হাসপাতালে বর্তমানে আটজন রোগী আছেন। গ্রেটার টরন্টোর অন্যান্য হাসপাতালের সক্ষমতা না থাকায় তাদেরকে এখানে স্থানান্তর করা হয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.