চায়ের কাপে ভোটের ঝড় !  কে হচ্ছেন দামুড়হুদার নাটুদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান  

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি: আগামী ১০ অক্টোবর/২০ ইং দামুড়হুদা উপজেলার নবগঠিত নাটুদা ইউনিয়ন নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে ইউনিয়ন জনপদ। চারি দিকে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। পোস্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে ইউনিয়ন এলাকায়।

বিশেষ করে এই দলীয় প্রতীক নির্বাচনকে নিয়ে চায়ের কাপে উঠছে ভোটের ঝড়। এলাকার সর্বত্র একটাই আলোচনা কে হচ্ছেন নাটুদা ইউপি চেয়ারম্যান? এবার ও পাল্লা ভারী শফিকুল ইসলাম শফির দিকে।

এবার চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি (নৌকা প্রতীক), বিএনপির মনোনিত প্রার্থী আমীর হোসেন (ধানের শীষ প্রতীক), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল হালিম বিশ্বাস (আনারস), ইয়াসনবী (অটো গাড়ী) বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী ফজলুল হক (মোটর সাইকেল) ও জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলাম মুক্ত (টুপি) প্রতিক নিয়ে মাঠে নেমেছেন।

এবার দ্বিমূখী নির্বাচন হবে বলে ধারণা ভোটারদের। বাঙালি উৎসব প্রিয় জাতি। যেকোনো একটা উপলক্ষ পেলেই মেতে উঠি আনন্দ-উল্লাসে। সেই ভোটের উৎসব এখন শুরু হয়ে গেছে ইউনিয়ন এলাকার বিভিন্ন গ্রামের আনাচে কানাচে। চায়ের দোকানে চলছে আড্ডা, চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। যে চলছে না তাও নয়।

এলাকার ভোটাররা জানান আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান  শফিকুল ইসলাম শফি এলাকার ব্যাপক উন্নতি করেছেন। আরো কিছু অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত হলে  নাটুদা ইউনিয়ন একটি মডেল ইউনিয়নে রূপান্তরিত হবে বলে জানান। ভোটারদের কাছে বিভিন্ন উন্নয়নের কথা বলে মন জয় করার চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা।

নির্বাচনী মাঠে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রচারণায় নেমে পড়েছেন এবং ইউনিয়ন এলাকার উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ, উঠোন বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের দিচ্ছেন ডজন ডজন প্রতিশ্রুতি।

এদিকে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাস শফি ইউনিয়ন এলাকায় যে সমস্ত উন্নয়নের বিপ্লব ঘটিয়েছেন এবং বর্তমান সরকারের আমলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে  নাটুদা ইউনিয়নকে একটি আধুনিক ইউনিয়ন গঠন করার লক্ষ্যে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে তাকে ফের নির্বাচিত করারজন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ধরনা দিচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল হালিম জোরে সোরে নির্বাচনী গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপির সমর্খিত প্রার্থী আমীর হোসেন নিরবতা পালন করছে। এলাকাতে ধানের শীষের প্রতিক বা পোস্টার  চোখে পড়েনি।আরেক আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইয়াসনবী কর্মি সমর্থক নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি জানান, আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় যে উন্নয়ন মুলক কাজ করেছি জনগন আমাকে স্মরন করবে এবং জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। প্রার্থী আব্দল হালিম জানান আমার প্রতিক আনারস। আমি দুইদুইবার নির্বাচনে পরাজিত হওয়ায় ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সাড়া রয়েছে। ইনশাল্লাহ জয় নিশ্চিত।

অভিজ্ঞ মহল ও সাধারণ ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা যায় এবার মাঠে চেয়ারমান প্রার্থী ৬ জন থাকলেও ভোট যুদ্ধে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামীলীগ সমর্থিত র্প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি (নৌকা) ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল হালিম বিশ্বাস (আনারস) প্রতিকের মধ্যে। এবার দ্বিমুখী নির্বাচনে জয়ের পাল্লা নৌকা প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফি’র হবে বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি মোস্তাফিজ কচি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.