চালক বিহীন ট্রেন চলাচলে ৩ জন সাসপেন্ড

পাবনা প্রতিনিধি:  চালক বিহীন ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহী গেলো পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি। গতকাল (১৩’ অক্টোবর) রোববার চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ঈশ্বরদীতে।

এ ঘটনায় দায়ী ৩ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে সাসপেন্ড করেছে পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ।

যাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে তারা হলেন: ঈশ্বরদী রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক লোকো মাস্টার (এলএম) আসলাম উদ্দিন খান মিলন, শ্রমিক লীগের একই কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও ওই ট্রেনের সহকারী লোকো মাস্টার (এএলএম) আহসান উদ্দিন আশা এবং ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) আনোয়ার হোসেন-২।

পাকশী রেলওয়ে সুত্র জানায়, পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক আসলাম উদ্দিন খান মিলন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তিনি নিজে ট্রেনে না উঠে তার সহকারী আহসান উদ্দিন আশাকে দিয়ে গতকাল রোববার ট্রেনটি ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহী পাঠান। ট্রেনটি পাবনা থেকে ছাড়ে ৭.১৫ মিনিটে, ঈশ্বরদী থেকে ছাড়ে ৫.৪৫ মিনিটে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেলওয়ে একজন কর্মচারী জানান, এ ঘটনাটি ট্রেনের গার্ড জানলেও তিনি রেল কর্তৃপক্ষের কাউকে না জানিয়ে সহকারী এলএমকে নিয়ে ট্রেনটি পরিচালনা করেছেন। এ খবর জানার পর বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন ট্রেনের গার্ডকে এবং বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ডিএমই লোকো) আশিষ কুমার চক্রবর্তী চালক ও সহকারী চালককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন।

পাকশী বিভাগীয় রেলের দুজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে বিটিসি নিউজকে বলেন, ট্রেন সময় মতো না ছাড়লেও একজন পূর্ণাঙ্গ চালক (এলএম) ছাড়া কোনো ট্রেন চালানোর সুযোগ রেলওয়ে নেই।

চালক ছাড়া ট্রেনটি রাজশাহীতে পৌঁছার পর রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ভাবে পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে ৩ জনকে অব্যাহতি দিয়ে অন্য চালক ও গার্ডকে দিয়ে ফিরতি ট্রেন পাঠান ঈশ্বরদীতে। ফিরতি ট্রেনের যাত্রীরা এ ঘটনা শুনে আতঙ্কিত ও হতাশা প্রকাশ করেন।

পাবনা এক্সপ্রেস টেনটি ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে প্রতিদিন মাঝগ্রাম জংশন, দাশুড়িয়া, টেবুনিয়া স্টেশন হয়ে প্রথমে পাবনা স্টেশনে যায়। পাবনা থেকে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন হয়ে রাজশাহী যায়।

ফিরতি সময়ে রাজশাহী স্টেশন থেকে পাবনা হয়ে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ফিরে আসে ট্রেনটি। রেলের এই নিয়ম না মেনে প্রায়ই এই ট্রেনের চালক ও রেল শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিন খান মিলন বাইপাস স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন বলেও অভিযোগ রয়েছে । আবার মাঝে মধ্যেই তিনি তার সহকারীকে দিয়ে ট্রেন রাজশাহীতে পাঠিয়ে থাকেন।

উল্লেখ্য: আসলাম আলী খান মিলন রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক হওয়ার কারনে তিনি নাকি এসব বিষয় কোন কিছু তোয়াক্কা করেন না বলে অনেকেই জানান এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায় চালক আসলাম আলী খান মিলন মাদকাসক্ত।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পাবনা প্রতিনিধি মো: ময়নুল ইসলাম লাহিড়ী মিন্টু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.