আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় লটো শোরুমের মালিক পিন্টু আকন্দ (৩৫) কে অস্ত্রের মুখে মাইক্রোবাসে অপহরণের সাড়ে ৩ ঘন্টা পর আদমদীঘি এলাকা থেকে মালিক পিন্টু আকন্দের লাশ উদ্ধার এবং মাইক্রেবাস সহ চালক সানোয়ার হোসেন (৪০) কে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘি থানা পুলিশ আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির কোমারভোগ গ্রাম এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিহত পিন্টু আকন্দ নওগাঁ লোহাচুড়া দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে।
তিনি দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরে পাদুকার শোরুমে ব্যবসা করতো।
আটক মাইক্রোবাস চালক দুপচাঁচিয়া উপজেলার উত্তর সাজাপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, সোমবার দিবাগত রাত ৯টায় বগুড়ার জেলার দুপচাঁচিয়া সিও অফিস এলাকায় লটো শোরুমের মালিক পিন্টু আকন্দ পাদুকা শোরুম দিয়ে ব্যবসা করে আসছিল।
সোমবার সারাদিন বেচাকেনার পর রাত ৯টায় শোরুমে সামনেএকটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস থামিয়ে ৪/৫জনের একদল দুবৃর্ত্ত শোরুমে প্রবেশ করে অস্ত্রে মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায় পিন্টু আকন্দকে। এরপর অপহৃত পিন্টু আকন্দকে দুবৃর্র্ত্তরা কৌশলে হত্যা করে মাইক্রোবাসের সিটের নীচে লাশ ঢেকে রাখে। এর সাড়ে ৩ ঘন্টা পর রাত সাড়ে ১২ টায় আদমদীঘি-তিলোকপুর সড়কের কোমারভোগ গ্রাম এলাকায় মাইক্রেবাসটি অচল হলে দুবৃর্ত্তরা লাশ ও মাইক্রোবাস ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এদিকে পুলিশ প্রযুক্তির মাধ্যমে মাইক্রোবাসটির অবস্থান শনাক্ত করে উল্লেখিত স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করেন। রাতেই দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ মাইক্রোবাস ও চালক সানোয়ার হোসেনকে আটক করে নিয়ে যায়।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান বিটিসি নিউজকে জানান, ঘটনাস্থল দুপচাঁচিয়া থানা এলাকায় সেখানে আইনী ব্যবস্থা নিবেন।
দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আফজাল হোসেন বিটিসি নিউজকে জানান, অপরাধিদের চিহিৃত করে গ্রেপ্তার তৎপরতা চলছে। #















