চার ফিফটিতে বাংলাদেশ ৩০৩

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বরাবরই ভয়ঙ্কর তিনি। হারারেতে শুক্রবার (৫ আগস্ট) তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ছিলেন শতকের পথে। তবে আচমকা হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠের বাইরে যেতে হল লিটন দাসকে।
লিটন বাইরে গেলেও ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি আদায় করে প্রত্যাবর্তন রাঙালেন এনামুল হক বিজয়। ৪৭ বলে এই কীর্তি গড়ার পথে দুটি ছক্কা ও চারটি চারের মার আসে বিজয়ের উইলো থেকে। শেষ পর্যন্ত আউট হন ৬২ বলে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কা মেরে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে।
এই দুজন ছাড়াও এদিন ফিফটি হাঁকিয়েছেন আরও দুজন। ওপেনার তামিম ইকবাল ও উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। টাইগার টপ অর্ডারের এই চার ব্যাটারের চার ফিফটিতে চড়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে আরেকবার তিনশ ছাড়ানো স্কোর পেল বাংলাদেশ।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৩০৩ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮১ রান করেন লিটন দাস। এছাড়া এনামুল হক বিজয় ৭৩, তামিম ৬২ রান করে আউট হন। তবে একটা সিরিজ পর দলে ফিরে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর রহিম। সঙ্গী রিয়াদ অপরাজিত থাকেন ১২ বলে ২০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে।
হারারেতে এদিন তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে শতরানের (১১৯) জুটি গড়েন লিটন দাস। তামিম ৬২ রান করে ফিরলেও ফিফটি হাঁকিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন লিটন। ৭৫ বলে ফিফটি স্পর্শ করা লিটন পরের ১৪ বলে তোলেন ৩১ রান।
৮৯ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে করেন ৮১ রান। ছুটছিলেন আরেকটি শতকের পথেই। তবে দলীয় ৩৪তম ওভারে সিকান্দার রাজার ওভারে সিঙ্গেল নেয়ার পথে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পড়ে লিটনের।
মাঠের মধ্যেই শুশ্রূষা নিতে থাকেন টাইগার এই ওপেনার। তবে ব্যথার সঙ্গে না পেরে ব্যক্তিগত ৮১ রানের মাথায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এর আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৪তম ফিফটি হাঁকিয়ে ৮ হাজার রান স্পর্শ করেন টাইগার সেরা ওপেনার ও ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সিকান্দার রাজার বলে ইনোসেন্ট কাইয়ার ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৮৮ বলে ৯ রানে ৬২ রান।
বিজয়ের মতোই ৪৭ বলে ফিফটি হাঁকানো মুশফিকের ইনিংসে ছিল পাঁচটি চারের মার। সেইসঙ্গে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ভায়রা রিয়াদের সঙ্গে গড়েন ২৫ বলে ৩৬ রানের জুটি। যদিও আরেকটু বড় হতে পারত এই জুটি। তবে ফিফটির দোরগোড়ায় থাকায় কিছুটা শ্লথ ছিলেন মুশফিক।
এর আগে বিজয়ের সঙ্গে ৭৬ বলে ৯৬ রানের জুটি গড়ার পথে ৩৬ বলে ৩৭ রান করেন তিনি। যদিও পরের ১০ বলে ১৪টি রান নেন তিনি। হয়তো আরেকটু হাআত খুলে খেললে আরেকটু বেশি হতেই পারত বাংলাদেশের স্কোর।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে সিকান্দার রাজা ৪৮ রান দিয়ে এবং ভিক্টর নিয়াউচি ৬৫ রান দিয়ে একটি করে উইকেট লাভ করেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.