চারঘাটের বেলঘরিয়ায় জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে পুড়লো বিএনপির অফিস

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফ ইউনিয়নের বেলঘরিয়া এলাকায় একটি স্থানীয় বিএনপির অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ অফিস পুড়িয়ে দেয়া হয়। জায়গা-জমি নিয়ে দুপক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপি এ অফিস পোড়ানো হয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।
নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য ও ভুল বোঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে বিএনপি অফিস পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে এমনটাও বলছেন অনেকেই। এ ঘটনায় গত ২২ সেপ্টেম্বর মাহমুদুল হাসান চঞ্চল নামে স্থানীয় বিএনপির নেতা বাদি হয়ে ৮জনকে আসামী করে কাটাখালি খানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
তবে মামলার বাদিও বলছেন জায়গা-জমি দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপি অফিস পোড়ানো হয়েছে।
আসামীরাও বলছেন জায়গা-জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপি অফিস পরিকল্পীতভাবে পুড়িয়ে তাদের ফাঁসানোর জন্য মামলা করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর চারঘাটের ইউসুফপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বেলঘরিয়ে মোড়ে একটি কক্ষ নিয়ে একটি বিএনপির অফিস স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা বসতেন।
তবে বেলঘরিয়া মোড়ে স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির অফিসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে।
প্রথমত যখন আগুন লেগেছে ওই সময় মোড়ের দোকানদার বা স্থানীয়দের কেউ ছিল না। কিন্তু মামলায় ৮জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অনেকেই বলছেন ওই অফিসে চঞ্চল সহ তার লোকজন বসতেন।
অফিস পোড়ার রাতে ওই মোড়ে অন্য কেউ না থাকলেও বিএনপি নেতা চঞ্চলসহ তার সহকারীদের সেখানে দেখা গেছে।
তবে স্থানীয়রা বলছেন দুপক্ষের রেষারেষির পাঠার বলি হয়েছে ওয়ার্ড বিএনপির অফিস।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, বেলঘরিয়া এলাকার নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির সাথে এলাকার বজলুর রহমান নামে এক ব্যক্তির ৩শতক জায়গা নিয়ে মামলা চলছিল। ইতিমধ্যে ৩ বার নজরুল ইসলামের পক্ষে রায় দেন আদালত। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ওই জায়গায় কাজ করছিলেন নজরুল ইসলাম ও তার সন্তানরা।
এসময় বিএনপি নেতা চঞ্চল লোকজন নিয়ে বাধা দেন। নজরুল ইসলাম তার কাগজপত্র দেখানোর পরও প্রতিরোধের মুখে চঞ্চল ও তার লোকজন সেখান থেকে চলে যান। এর পরের দিন রাতে বিএনপির অফিস পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। অনেকেই বলছেন বিষয়টি এমন হতে পারে যে, তাদের দুপক্ষকে হয়রানির জন্য বিএনপি অফিসে তৃতীয়পক্ষ আগুন দিয়েছে। আর আসামী পক্ষের দাবি পরিকল্পীতভাবে অফিস পুড়িয়ে তাদের ফাঁসানো হয়েছে।
মামলার বাদি চঞ্চল বলেন, যে জায়গা নিয়ে দ্বন্দ্ব সেই জায়গার ফায়সালা করার জন্য আমি গ্রাম্য মাতব্বর নিয়ে গিয়েছিলাম। কিছু টাকা পয়সা দিয়ে মিমাংসাও করা হয়। কিন্তু তারা টাকা বা ওই জায়গার যে অংশটুকু ছেড়ে দেয়ার প্রস্তার দেয়া হয়েছিল তারা তা না করে মারমুখি আচরণ করেন। এরই জের ধরে তারা বিএনপির অফিস পুড়িয়েছে।
মামলার আসামী রাজা আলী বলেন, পরিকল্পীতভাবে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। ওই জায়গাকে কেন্দ্র করে পরিকল্পীতভাবে বিএনপি অফিসে আগুন দেয়া হয়েছে। আর আসামী করা হয়েছে আমাদের পরিবারের লোকজনসহ ৮জনকে।
কাটাখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন, বিএনপির অফিস পোড়ানোর ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি ইফতেখার আলম (বিশাল) / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.