চামড়া শিল্পেও রপ্তানি প্রণোদনার উদ্যোগ : শিল্পমন্ত্রী

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: পোশাক শিল্পের মতো চামড়া শিল্পেও রপ্তানিতে উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে প্রণোদনা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেন, কৃষির জন্য অতি প্রয়োজনীয় সার উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে আশুগঞ্জে পুরাতন সার কারখানার স্থলে একটি আধুনিক সার কারখানা এবং ভোলায় একটি নতুন সার কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে এ বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের দ্বিতীয়বারের মতো শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করা উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমার নির্বাচনী ইশতেহার এবং জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের স্বপ্নযাত্রা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। তরুণদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও দক্ষতা উন্নয়নে শিল্প মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চিনিকলগুলো আধুনিকায়ন করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই। লবণ শিল্পের উন্নয়নে কক্সবাজারে একটি লবণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের দক্ষ সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে আমাদের টিম কাজ করে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়/দপ্তরের সাথে আমরা যৌথভাবে কাজ করব।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমি দেশের জন্য, দেশের জনগণের জন্য কাজ করতে চাই। আমার ওপর প্রধানমন্ত্রী আস্থা রেখে যে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, তার প্রতিদান দিতে চাই।
দ্বিতীয়বার শিল্পমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর রোববার প্রথম দপ্তরে আসেন নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি মন্ত্রণালয় প্রঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিগত ১৫ বছরের অর্জন নিয়ে ‘সমৃদ্ধির ১৫ বছর’ শীর্ষক পুস্তকের মোড়ক উন্মোচন করেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.