চাপ কাটানোর চেষ্টায় বাংলাদেশ

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আজ বুধবার জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর ম্যাচটিতে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয় মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই জুটি ভাঙার পর দ্রুত টপ অর্ডারদের হারিয়ে বিপদে পড়ে গেছে বাংলাদেশ। বিজয় ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে সেই চাপ কাটানোর চেষ্টায় বাংলাদেশ।
জুটি গড়ার আভাস দিয়ে রান আউট হয়ে বিদায় নিয়েছেন তামিম ইকবাল। ৩০ বলে ১৯ রান করে ফেরেন তিনি। এর পরেই ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নেমে গোল্ডেন ডাকে বিদায় নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। চারে নেমে উইকেট বিলিয়ে দেন মুশফিকুর রহিমও। তিনিও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ম্যাচটির একাদশে ফেরানো হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানকে। এ ছাড়াও আজকের ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলে অভিষেক হলো পেসার ইবাদত হোসেনের।
চোটের কারণে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ছিলেন না মুস্তাফিজ। সুস্থ হয়ে আজ ফিরেছেন তিনি। এ ছাড়া সুযোগ দেওয়ার জন্যই ইবাদতকে উড়িয়ে নেওয়া হয়েছিল। তাই তিনি পেলেন প্রত্যাশিত সুযোগ।
মুস্তাফিজ ও ইবাদত ফেরায় বাদ পড়েছেন তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম। তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ দলে আছে এ দুটিই পরিবর্তন এসেছে।
অন্যদিকে সিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় পাওয়া চোট পাওয়ায় ছিটকে গেছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক রেজিস চাকাভা। তাঁর বদলে একাদশে অভিষেক হলো ক্লাইভ মাদান্দের। আর আজ স্বাগতিকদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিকান্দার রাজা।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজও চরম হতাশায় কাটছে বাংলাদেশের। টানা দুই ওয়ানডেতে হেরে এরই মধ্যে সিরিজ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় এবার বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছে হোটাইটওয়াশের লজ্জা।
এই হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে আজ বুধবার সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে এই ম্যাচটিতেও টস হেরেছে বাংলাদেশ। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
ওয়ানডে ফরম্যাটের ইতিহাসে এর আগে দু’বার জিম্বাবুয়ের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিলো বাংলাদেশ। ২০০১ সালে প্রথম দুটি দ্বিপাক্ষীয় সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিলো লাল-সবুজের দল। এরপর পূর্ণ শক্তির জিম্বাবুয়ে আর কখনও বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি। এবার সেই সুযোগ জিম্বাবুয়ের সামনে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.