চাঞ্চল্যকর কাজী তয়ন হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর

খুলনা ব্যুরো:  খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানার কাজী তাসফিন হোসেন তয়ন হত্যা মামলাটি খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর হয়েছে।
তয়ন খালিশপুর থানাধীন মুজগুন্নী মেইন রোডস্থ কাজী ফেরদৌস হোসেন তোতার একমাত্র পুত্র। ৩২ বছর বয়সী এই যুবককে ২০১৮ সালের ২৮ আগষ্ট রাতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র হত্যা করে একটি ডোবার মধ্যে লাশ চাপা দিয়ে রাখে। পরে মোবাইল ট্রাকিং করে আসামী গ্রেফতারের পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। মামলাটি দীর্ঘদিন খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে চলমান থাকার পর সম্প্রতি খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কাজী তাসফিন হোসেন তয়ন(৩২) ২০১৮ সালের ২৮ আগষ্ট বিকেলে নিখোঁজ হলে তার পিতা কাজী ফেরদৌস হোসেন তোতা ওই বছর ৮ সেপ্টেম্বর খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পর খালিশপুর থানা পুলিশ মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে সন্দেহজনক আসামী সাইফুল ইসলাম গাজীকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল স্বীকার করেন যে, তিনি অন্য কিছু সহযোগীসহ ২৮ আগষ্ট রাত নয়টা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যে তয়নকে হত্যা করে মৃতদেহ বয়রা পুলিশ লাইনের পশ্চিম পাশের মোস্তফা কামালের ডোবা জমির উত্তর পাশের কচুরিপনা ও হোগলা বনের মধ্যে চাপা দিয়ে রেখেছেন।
সাইফুলের দেখানো মতে উক্ত ডোবা থেকে পিলার ও বাঁশের সাথে বাধা অবস্থায় তয়নের আংশিক গলিত লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। পরে আসামী সাইফুল ও অপর সহযোগী আসামী কাজী মুরাদ ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে স্বাীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। জবানবন্দিতে তারা জানান, তারা দু’জনসহ আরও কয়েকজনে মিলে তয়নকে হত্যা করেন। জবানবন্দিতে কাজী ফরহাদ হোসেন, কাজী সাব্বির হোসেন ফাহিম, কাজী রওনাকুল ইসলাম রনো, কাজী মাসুম ও মো: জাকিরের নাম উল্লেখ করা হয়। পুলিশ পরে মো: জাকির ছাড়া বাকী আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ ওই মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক মামলা হিসেবে চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানায়। সর্বশেষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলাটি খুলনার বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য প্রেরণের আদেশ দেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানায়, ইতোমধ্যে, মামলাটি (খালিশপুর থানার মামলা নম্বর-১২, তারিখ-৮/৯/১৮) বিভাগীয় দ্রুত বিচার আদালতে দ্রুত মামলা (নম্বর-০১/২০২০) হিসেবে গৃহীত হয়।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.