চাচা-ফুফার ডিএনএ’র আবেদন : ১৭ দিনের শিশু হত্যা, বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ, ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ১৭ দিনের শিশু সোহানা আক্তার হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে শিশুটির বাবা সুজন খানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শিশু সোহানার বাবাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করছে। অন্য দুই সন্দেহভাজন চাচা রিপন খান এবং তার ভগ্নিপতি হাসিব শেখের ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ।
আজ বৃহষ্পতিবার বেলা এগারোটার দিকে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় মোরেলগঞ্জ থানায় গিয়ে শিশু সোহানার হত্যাকারী সন্দেহভাজন বাবাসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে সোহানার হত্যাকান্ডে তার বাবার সম্পৃক্ততা মেলায় তাকে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। তবে সোহানার বাবা কেন তাকে হত্যা করেছে সে বিষয়ে এখনও পুলিশ খোলাসা করে কিছু বলছে না।
এর আগে আজ বৃহষ্পতিবার সকালে মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম শিশু সোহানা হত্যাকান্ডে বাবাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো কথা সাংবাদিকদের জানান।

জেলে সুজন খান বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।
গত রবিবার দিনগত রাতে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামের জেলে সুজন খানের বাড়ি থেকে বাবা মায়ের পাশে ঘুমিয়ে থাকা ১৭ দিনের শিশু সোহানা চুরির ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় গত সোমবার সকালে সোহানার দাদা আলী হোসেন খান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি অপহরণের মামলা করেন।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, বাবা মায়ের পাশে ঘুমিয়ে থাকা শিশু সোহানা আক্তার চুরির ঘটনার পর জড়িতদের ধরতে পুলিশ তৎপর ছিল। শিশু সোহানাকে চুরির পর পুলিশ তাকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।
গতকাল বুধবার সকালে পুকুর থেকে ১৭ দিনের শিশু সোহানার মরদেহ উদ্ধারের পর দুপুরে সন্দেহভাজন হিসেবে শিশুটির বাবা সুজন খান, চাচা রিপন খান এবং তাদের ভগ্নিপতি হাসিব শেখকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে শিশু সোহানার বাবা সুজন খান এই হত্যাকান্ডে জড়িত রয়েছেন। সুজন খানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
শিশু সোহানার বাবাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। অন্য দুই সন্দেহভাজন চাচা রিপন খান এবং তার ভগ্নিপতি হাসিব শেখের ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ। চাচা রিপন খান ও ফুফা হাসিবকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। কি কারনে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্তের সাথে এখনই বলা যাবে না। আরও জিজ্ঞাসাদের পর হত্যার কারন সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে বলে দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগেরহাট প্রতিনিধি মাসুম হাওলাদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.