চাকরিতে অবসরের বয়সসীমা কেন বাড়াচ্ছে চীন?

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নাগরিকদের অবসরের বয়সসীমা ধীরে ধীরে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চীন ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাগত এবং বয়স্ক জনসংখ্যার সংকটের মুখোমুখি উল্লেখ করে সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পুরুষ কর্মীদের জন্য বিধিবদ্ধ অবসরের বয়স ধীরে ধীরে ৬০ বছর থেকে ৬৩ বছর করা হবে।’
চাকরির ধরণ অনুযায়ী নারী কর্মীদের জন্য অবসরের বিধিবদ্ধ বয়স ৫০ অথবা ৫৫ বছর থেকে বাড়িয়ে যথাক্রমে ৫৫ এবং ৫৮ বছর করা হবে।
সিনহুয়া বলছে, অবসরের বয়স ২০২৫ সাল থেকে ১৫ বছরে ধীরে ধীরে বাড়ানো শুরু হবে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের (এনবিএস) হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, টানা দ্বিতীয় বছরের মতো দেশটিতে কমেছে জনসংখ্যা।
এনবিএস বলছে, ২০২৩ সালে চীনের জনসংখ্যা কমে ১৪০ কোটি ৯০ লাখে নেমে এসেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২০ লাখ ৮০ হাজার কম।
এনবিএসের তথ্যানুযায়ী, গত বছর দেশটিতে প্রতি এক হাজার জনের বিপরীতে শিশুর জন্মহার ৬ দশমিক ৩৯। ২০২২ সালেও এই হার ছিল ৬ দশমিক ৭৭। ১৯৪৯ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশটিতে এটিই সবচেয়ে কম জন্মহারের রেকর্ড।
এনবিএস আরও জানিয়েছে, ২০২৩ সালে চীনে ৯০ লাখ ২০ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে। এর আগের বছর দেশটিতে ৯৫ লাখ ৬০ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছিল।
চীনের নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন, এমন অবস্থা চলতে থাকলে তা হবে দেশটির জন্য ক্ষতিকারক। এ ছাড়া এই পরিবর্তন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।
গত কয়েক দশকে চীনে অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি। বলা হয়ে থাকে, বিশ্বের সবচেয়ে কম অবসর বয়সসীমা রয়েছে দেশটিতে। এমন পরিস্থিতিতে গড় আয়ু, নাগরিকদের স্বাস্থ্যগত সক্ষমতা, জনসংখ্যার কাঠামো, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও শ্রমশক্তি সরবরাহ মূল্যায়ন করে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.