চাঁপাইনবাবগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা, থানায় মামলা আটক-১

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড নিয়ে কথাকাটির জেরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বটতলাহাটে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেস্টা করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী। হত্যা চেষ্টার শিকার হওয়া যুবক সুমন পাঠান (৪০) বটতলাহাট মীরপাড়া গ্রামের মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে ও সুমনের ম্যানেজার একই এলাকার মোঃ মাসুদ মিয়ার ছেলে মোঃ সোহেল মিয়া। সোহেল মিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আর সুমন রাজশাহী হাসপাতাল বেডে আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহত যুবক সুমনকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয় সোহেল মিয়া। পরে জখম ২ যুবককে উদ্ধার করে স্থানীয়রা সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সুমনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। গত রোববার দিবাগত রাত ৮টায় পৌরসভার বটতলাহাটে এ ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় আহত সুমনের মা বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় রোববার রাতেই একটি মামলা দায়ের করে। এঘটনায় ১ জনকে পুলিশ আটক করেছে। আহত যুবক সুমন পাঠানের চাচাতো ভাই মীর বিটুল আলী বলেন, গত শনিবার রাতে ফ্লেক্সিলোড নিতে সুমন স্থানীয় ফাহিমের দোকানে টাকা দিয়ে আসে। ফ্লেক্সিলোড দিতে দেরী হলে সুমন ফাহিমকে মোবাইলে দেরী হবার কারণ জানতে চায়। এসময় উভয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
এঘটনার জেরে রোববার রাতে ফাহিমের পক্ষ নিয়ে গ্রামীণ ট্রাভেলস এর চেয়ারম্যান মোঃ মোখলেসুর রহমানের ছোট ভাই মইদুলের নির্দেশে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাক্কার (মোখলেশুরের চাচাতো ভাই) তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সুমনের উপর হামলা চালায়। সুমনকে তার দোকান হতে ডেকে বটতলাহাট গরু হাটে নিয়ে গিয়ে চাইনিজ, রামদাসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। সুমনকে রক্ষা করতে গিয়ে তার ম্যানেজার সোহেল মিয়াকেও কোপানো হয়। বিটুল আরও বলেন, মামলা হলেও পুলিশ মুল আসামীদের না ধরে ৭নং আসামী ফাহিমকে আটক করেছে। মুল আসামী মইদুল ও বাক্কার রাতে মোখলেসের পার্কে ছিল, কিন্তু পুলিশ পার্কে গেলেও তাদেরকে ধরেনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা বিটিসি নিউজকে নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় আহত সুমনের মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। এজাহারভুক্ত ৪ অথবা ৫ নং আসামী ফাহিমকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি মো: আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.