চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহা সমারোহে ১৩২টি মন্ডপে চলছে শারদীয় দূর্গোৎসব

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: সারাদেশের মত হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসব মহা সমারোহে চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। আজ সোমবার ষষ্টি থেকে শুরু হয় দূর্গোৎসব। সকালে থেকেই ভক্তরা মন্দিরে এসে পুজা অর্চণা করেছেন। এবছর জেলায় ৫টি পূজা মন্ডপ বেড়ে একযোগে উদযাপন হচ্ছে ১৩২টি পূজা মন্ডপে দূর্গোৎসব। তবে, সদর উপজেলার ৫৭টি মন্ডপে উদযাপন হচ্ছে শারদীয় দূর্গোৎসব।

এব্যাপারে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর শাখার সভাপতি কনকরঞ্জন দাস সকলকে শারদীয় দূর্গোৎসব জানিয়ে বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও মহা সমারোহে সদর উপজেলার ৫৭টি মন্ডপে উদযাপন হচ্ছে শারদীয় দূর্গোৎসব। সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি মন্ডপে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আনসার-ভিডিপি ও পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। উদযাপনের প্রথম দিন থেকে ভোক্তারা মন্ডপে মন্ডপে পুজা অর্চণা করেছেন। উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে অন্য ধর্মীয় ব্যক্তিরা আমাদের সাথে উৎসব ভাগ করে নিচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা আশাবাদি পূজা উদযাপনের শেষদিন পর্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশ ও ভোন্তির সাথে এই উদযাপন পালন করতে পারবো। তবে, কিছু বিশৃঙ্খ ব্যক্তির কারণে দশমীর দিন মাদকের ব্যবহার হয়। আমরা সেই দিকে একদম জিরো ট্রলারেন্স অবস্থান নিয়েছি এবছর। মাদকসেবন করে কিংবা মাদক নিয়ে কেউ মন্ডপে প্রবেশ করলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করবো। এবছর আমরা আশা করছি কোন বিশৃঙ্খলা ছাড়াই এই দূর্গোৎসব শেষ করতে পারবো।

এদিকে, বাংলাদেশের এবং ভারবর্ষের মধ্যে সবচেয়ে বড় মন্দির বাইস পুতুল মন্ডপ, জেলার সদর উপজেলার বারঘরিয়া ইউনিয়নের বাইস পুতুল সার্বজনিন দূর্গা মন্দিরে জেলার গণ্যমান্য হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী পুরুষরাসহ সাধারণ মানুষ পুজা অর্চণা করছেন। এবছর জেলায় মোট ১৩২টি পুজা মন্ডপে পুজা উৎসব চলছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৭টি, শিবগঞ্জে ৩৫টি, গোমস্তাপুরে ২৬টি, নাচোলে ১২টি ও ভোলাহাটে ২টি মন্দিরে পুজা হচ্ছে।

এব্যাপারে পুলিশ সুপার টি.এম মোজাহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার থেকে জেলা প্রতিটি পূজা মন্ডপে পুলিশ, আনসার-ভিডিপি মোতায়েন করা হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা নেই। নিরবিচ্ছিন্ন অবস্থায় জেলা প্রতিটি পূজা মন্ডপে সনাতন ধর্মাবলীরা তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করবে। জেলার ১৩২ টি পূজা মন্ডপের মন্দির কমিটির তালিকা পুলিশ প্রশাসনের কাছে নেয়া হয়েছে এবং প্রতিটা মন্ডপের পুলিশের নম্বরও দেয়া হয়েছে। প্রতি ৪ ঘন্টার পরপর পূজা মন্ডপের হালনাগাদ তথ্য আদান-প্রদান করা হচ্ছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে দিয়ে জেলার প্রতিটা পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসব পালন কবে সনাতন ধর্মাবল্বীরা।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.