বিশেষ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: ভোলাহাট উপজেলা বিএনপির মহিলা নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
সোমবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, জেলার ভোলাহাট উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শাহানাজ খাতুন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, স্বামী-স্ত্রীর একটি ঘটনায় তাকে মিথ্য মামলায় জড়িয়ে গত ২৮জুন রাতে কোন গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার করে ভোলাহাট থানা পুলিশ।
পরে তার ওপর অমানবিক শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করে ভোলাহাট থানার ওসি শহিদুল ইসলাম ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাত। ভোলাহাট থেকে তাকে সদর পুলিশ ফাঁড়িতে এনে রাত এগারোটা থেকে পরের দিন বিকেল পর্যন্ত আটকিয়ে রেখে নির্যাতন চালানো হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মতিউর রহমান ও মহিলা ডাক্তার এর বিষয়ে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন সংবাদ সম্মেলনে। শাহানাজ খাতুন আরও বলেন, পরের দিন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কোন চিকিৎসা না দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এঘটনায় বিচার দাবী করেন তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে।
তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করিম বলেছেন, তাকে মহিলা পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার উপর কোন নির্যাতন বা অসাদাচরন করা হয়নি। অপব্যাখার বিষয়টি ভেবেই তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসকের সনদ দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা এবং বিতর্কে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনিই পুলিশের সাথে অসাদাচরন করেছেন এবং পুলিশকে নিয়ে নানান বাজে কথাবার্তা বলেছেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, পুলিশ কোনো অন্যায় করেনি। তিনি নিজের অপরাধ ঢাকতে এমন সাজানো সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.