চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের কাছে যৌন নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী, ধামাচাপা দিতে নানা ষড়যন্ত্র

বিশেষ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: প্রধান শিক্ষকের কাছে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে একই প্রতিষ্ঠানের তানিয়া নামের ৪র্থ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নানা ষড়যন্ত্র করছেন লম্পট প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ এলাকার কিছু স্বার্থান্বেসী লোক।
পরিবারের অভিভাবকের পরেই শিক্ষার্থীদের অভিভাবক শিক্ষক হলেও, প্রধান শিক্ষকের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরও এমন লম্পট শিক্ষককে বাঁচাতে ষড়যন্ত্র করছেন ম্যানেজিং কমিটি, সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসের অসাধু কর্মকর্তা।
এনিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ, সচেতন মহল ও ভূক্তভোগী পরিবারের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভূক্তভোগী তানিয়া (১১) জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ভবানীপুরের কয়লার দিয়াড় গ্রামের মো. কালাম আলীর মেয়ে। কালাম একই এলাকার মোঃ আলম আলীর ছেলে।
এদিকে, তানিয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয় বলে জানালেও, ঘটনার দিন, সময় এবং তানিয়া বিদ্যালয়ে থাকার কথা স্বীকার করে নানা টালবাহানা করে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অস্পস্টভাবে ঘটনার স্বীকারোক্তি দিয়ে ফেলেন প্রধান শিক্ষক আলমগীর। যদি এমনটায় হয়, তানিয়া ওই বিদ্যালয়ের ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী নয়, তাহলে কি কোন মেয়ে শিশু বিদ্যালয়ে গেলে যৌন নির্যাতনের শিকার হবে? তাও আবার শিক্ষক দ্বারা, নাকি? একটি বাইরের শিশু মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে নির্জন রুমে ডেকে যৌন নির্যাতন করে ধর্ষণ চেস্টা চালাচ্ছিলেন ভদ্রবেশী মুখোশধারী লম্পট প্রধান শিক্ষক আলমগীর? এমন প্রশ্ন সাংবাদিকসহ অনেকেরই।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ১৩৫নম্বর উপর কয়লার দিয়াড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এঘটনা ঘটে গত মে মাসের ১৬ তারিখ দুপুরে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি, পুলিশ, শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানালেও প্রায় দেড় মাস পার হলেও কোন প্রতিকার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে।
তবে পুলিশ বলছে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এবং ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীকে না পাওয়ায় তাৎক্ষনিকভাবে কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন, জানার পরই প্রাথমিকভাবে তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন বাতিল করে নতুনভাবে ২ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে প্রমানিত হলে দ্রুত এবং বিভাগীয় মামলাসহ কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরজমিন জানা গেছে, তানিয়ার বাবা কালাম এর বিয়ে হয় পাশর্^বর্তী চাঁইপাড়া গ্রামের রোজবুলের মেয়ে বিউটির সাথে প্রায় ১৪ বছর আগে। নানা বিষয়ে সংসারে বনিবনা না হওয়ায় প্রায় সাড়ে ৪ বছর আগে কালাম ও বিউটির বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিবাহ বিচ্ছেদের পর বিউটি বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করে। শিশু তানিয়া বাবা কালামের কাছে থাকে এবং উপর কয়লার দিয়াড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেনী পর্যন্ত লেখাপড়া করে। পথিমধ্যে তানিয়ার মা বিউটি কৌশল করে স্কুল থেকে তানিয়াকে নিয়ে গিয়ে বিউটির বাবার এলাকার একটি স্কুলে (নারী কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়) ভর্তি করে। কিন্তু তানিয়া মাঝে মধ্যেই বাবা কালামের বাড়িতে আসতো এবং মা বিউটির কাছেও থাকতো। ভাগ্যের নির্মমতা তানিয়াকে টেনে নিয়ে আসে বাবার কাছে। গত ঈদুল ফিতরের পর থেকেই তানিয়া বাবা কালামের কাছে স্থায়ীভাবে থাকতো।
এরমধ্যেই তানিয়ার মা বিউটি ঢাকায় একটি চাকুরী নিয়ে ঢাকায় থাকতে শুরু করে এবং তানিয়ার কোন খোঁজ-খবর নেয়নি। এমতাবস্থায় তানিয়ার লেখাপড়া নতুন করে শুরু করার জন্য তানিয়ার দরিদ্র কৃষক বাবা কালাম তানিয়াকে উপর কয়লার দিয়াড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আবারও খেলাপড়ার জন্য পাঠায়।
পূর্বের শিক্ষার্থী হিসেবে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও তার সহপাঠিরা তাকে চেনা-জানা হওয়ায় তানিয়াকে ৪র্থ শ্রেণীর ক্লাশ করতে দেয় শিক্ষকরা। স্কুল যাওয়া শুরু করে তানিয়া। কিন্তু তানিয়ার উপর কু-দৃষ্টি পড়ে উপর কয়লার দিয়াড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীরের। কু-মতলবে গত মে মাসের ১৬ তারিখ/২২ টিফিনের সময় তানিয়াকে ডেকে নিয়ে যায় লম্পট আলমগীর, একই বিদ্যালয়ের ৩ তলায় একটি ছোট ঘরে নিয়ে যায় বই দেয়ার নাম করে। সেখানে বই খোঁজার নাম দিয়ে নিয়ে গিয়ে তানিয়াকে জড়িয়ে ধরে এবং যৌন নির্যাতন শুরু করে। একটি আশ্চর্যের বিষয় ৩ তলার ওই রুমে একটি কাঠের বেঞ্চে কিছু বই আছে এবং মেঝেতে নামাজের জন্য কয়েকটি জায়নামাজ পাতানো আছে। সেই রুমেই নানাভাবে তানিয়াকে যৌন নির্যাতন করতে থাকে এবং গোপন অঙ্গে নির্যাতন চালিয়ে তানিয়াকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। মন ভোলাতে লম্পট আলমগীর একসেট বইও দেয় তানিয়াকে।
তানিয়া লম্পট শিক্ষক আলমগীরের কাছ থেকে ছুটে পালিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে রুম থেকে বেরিয়ে আসে। লম্পট আলমগীর আবারও তানিয়াকে সিড়িতে ধরে ফেলে এবং শারিরিকভাবে অত্যাচার করতে থাকে এবং একথা কাউকে যেন না বলে, সে বিষয়ে হুমকী প্রদান করে। বললে, প্রাণে শেষ করার কথা বলেও হুমকী দেয় পাষন্ড আলমগীর বলে জানিয়েছে শিশু তানিয়া। তানিয়া যৌন অত্যাচার ও প্রাণ ভয়ে বাড়ি চলে আসলেও লম্পট আলমগীরে ভয়ে বাবা কালাম বা পরিবারের কাউকে বিষয়টি জানায়নি ২দিন।
পরে বিষয়টি দাদিকে জানায় তানিয়া। কালাম মা’র কাছে বিষয়টি শুনে এবং তানিয়ার শারিরিক অবস্থা ও চলাফেরা দেখে বাবা কালাম ও বর্তমান মা ইয়াসমীন তানিয়ার কাছে জানতে চাইলে তানিয়া ঘটনা খুলে বলে বাবা কালামকে। ঘটনার পর থেকে তানিয়া রাতে ঘুমের মধ্যেই স্বপ্ন দেখে, লাফিয়ে উঠে এবং চিৎকার করে কান্না শুরু করে। ভয়ে নাড়–সাড়– হয়ে যায়। রাতে ঠিকভাবে ঘুমাতে পারেনা, ঠিকমত খাওয়া দাওয়াও করেনা।
শিশু তানিয়া তার সাথে হওয়া নির্যাতনের ঘটনার বিবরণ সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন এবং এঘটনায় পাষন্ড লম্পট প্রধান শিক্ষক আলমগীরের দৃস্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। এমন শাস্তির ব্যবস্থা হোক যেন, ভবিষ্যতে আর কোন শিক্ষার্থীর উপর কোন লম্পট বা অভিভাবকসুলভ শিক্ষকদের কু-দৃষ্টি না পড়ে।
কালাম বিষয়টি জানার পরই বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্থানীয় মোঃ শারিফুল ইসলামকে জানায় এবং ঘটনার বিচার দাবী করে। বিষয়টি জেনে সভাপতি শারিফুল লম্পট প্রধান শিক্ষক আলমগীরের সাথে আলোচনা করে এবং ধামাচাপা দিতে ষড়যন্ত্র শুরু করে। আলমগীরের সাথে যোগসাজসের মাধ্যমে, মেয়ের বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে মিমাংসার জন্য চাপ সৃষ্টি শুরু করে কালামের উপর সভাপতি ও স্থানীয় কয়েকজন।
বিদ্যালয়ের কমিটি এবং স্থানীয় কয়েকজনের ষড়যন্ত্রের বিষয়টি বুঝতে পেরে কালাম মেয়ের এমন ঘটনার বিচারের জন্য শিবগঞ্জ থানা পুলিশ, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিস ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লিখিতভাবে অভিযোগ জানায়। প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামকে বিষয়টি তদন্তের ভার দেয়া হয়। তদন্তে শিক্ষার্থী তানিয়াসহ উপস্থিত থাকার জন্য চিঠি পাঠায় তদন্ত কর্মকর্তা। এদিকে, তানিয়াকে যেন পুলিশ বা তদন্ত কাজের জন্য না পাওয়া যায়, সেজন্য, তানিয়ার মা বিউটির সাথে হাত মিলিয়ে অজ্ঞাত সুবিধা ও প্রলোভন দেখিয়ে তানিয়াকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করে ষড়যন্ত্রকারীরা। শেষমেষ তানিয়াকে নিয়ে চলেও যায়।
তানিয়াকে পাওয়া যাচ্ছে না, তদন্তের দিন ঘনিয়ে আসছে, এমন দুশ্চিন্তায় বাবা কালাম স্থানীয় কয়েকজনের সহায়তায় নিশ্চিত হয় তানিয়া মায়ের কাছে আছে এবং কৌশলে তানিয়াকে বাড়ি নিয়ে আসে। অন্যদিকে, অজ্ঞাত সুবিধা নিয়ে তানিয়ার মা বিউটি শিবগঞ্জ থানা পুলিশকে বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলে। তদন্ত শুরু এবং তানিয়ার মা বিউটির কথা শুনে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে আর এগোয়নি।
তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ৫ জুন/২২ বিদ্যালয়ের ২য় তলায় শিক্ষকদের রুমে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেন। নির্যাতিত তানিয়া তদন্ত কর্মকর্তার সামনে মৌখিক ও লিখিতভাবে ঘটনার বিবরন দেন। তদন্ত করা প্রায় ১৭ দিন পার হলেও অজ্ঞাত কারণে তদন্ত প্রতিবেদনের কোন প্রতিফলন হয়নি। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামও ষড়যন্ত্র করেন বলে অভিযোগ ভূক্তভোগী তানিয়ার বাবা কালামের।
ঘটনা চুড়ান্তভাবে বিপরিতদিকে প্রবাহিত করতে এবং ধামাচাপা দিতে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তানিয়ার মা বিউটি, বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি শারিফুল ও কমিটির সদস্য জুয়েল, স্থানীয় ২ ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন মিলে একটি গোপন বৈঠক করে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিশু তানিয়ার অপ্রীতিকর ঘটনার মূল্য হিসেবে ১ লক্ষ টাকা একটি ব্যাংকে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ২৪ মে/২২ রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের শ্যামপুর শাখায় শিশু তানিয়ার নামে এক লক্ষ টাকা (সঞ্চয়ী হিসাব-স্কুল ব্যাংকিং-জমা বহির সিরিয়াল নম্বর-৪১৭১) হিসাব নম্বর-১৬১-৪৮৩ নম্বর এ্যাকাউন্টে জমা দেয়া হয়েছে। সব ষড়যন্ত্র করার পর প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য ষড়যন্ত্রকারীরা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
বিষয়টি এমন যেন, তানিয়ার সাথে কোন ঘটনায় ঘটেনি। মেয়ের এমন অবিচারের বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাতে থাকে বাবা কালাম। উপায়ান্তর না দেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতের জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা, (লিগ্যাল এইড অফিস) এ যোগাযোগ করেন তিনি। বিষয়টি বর্তমানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতে রয়েছে।
অভিযোগ ও সকল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মেয়ে তানিয়ার সাথে এমন অপকর্ম করায় এলাকার সকল শিশু শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সামাজিক অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য লম্পট প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীরসহ সকল ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তানিয়ার বাবা কালাম।
তানিয়ার শারিরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তানিয়াকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় বাবা কালাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৫ জুন/২২। সেখানে ভর্তি করার পর কর্তৃপক্ষ মানসিক বিভাগে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। মানষিক বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে তানিয়ার উপর ধর্ষণের চেষ্টার বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্যবস্থাপত্রে লিখে দিয়েছেন। চিকিৎসক তানিয়ার শারিরিক সকল উপসর্গ পরীক্ষা করে ঔষধও লিখে দিয়েছেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন এবং চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছেন। অন্যথায়, শিশু তানিয়ার মানষিক ও শারিরিক উভয় দিকেরই ক্ষতির আশংকাও করেছেন চিকিৎসক। এছাড়াও সেখানে (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) এ ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়ার কথা বলেন চিকিৎসক, কিন্তু তানিয়ার ভয়-ভীতি করায় ভর্তি করা হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে এলাকার অভিভাবক, সাধারণ মানুষ ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে তানিয়ার সাথে হওয়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবী করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার অংশ হিসেবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, উপর কয়লার দিয়াড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীর উপর প্রধান শিক্ষকের যৌন নির্যাতনের ঘটনার কথা জেনেছি। বিষয়টি জেনেই তাৎক্ষনিকভাবে প্রাথমিকভাবে দেয়া তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন ও তদন্ত কার্যক্রম বাতিল করে একই অফিসের ২জন সহকারী কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষয়টি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্ত ও গুরুত্ব দিয়ে, এলাকার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, সামাজিক সুনাম রক্ষা, অর্থ বা অন্য কোন অজ্ঞাত কারণে বিষয়টি যেন ধামাচাপা না পড়ে যায়, সেজন্য প্রয়োজনীয় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটায় আশা ভূক্তভোগি পরিবার ও সচেতন মহলের। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.