চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতি সন্তান অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ আর নেই


চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতি সন্তান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ঢাকাস্থ চাঁপাইবাবগঞ্জ জেলা সমিতির পৃষ্ঠপোষক সদস্য ও অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না … রাজিউন)।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।

অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমদ ১৯৩২ সালের ১৫ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি শিবগঞ্জের আদিনা সরকারি ফজলুল হক কলেজ ও রাজশাহী কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন। আজ শুক্রবার বাদ আসর বনানী বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান এবং সৃজনশীল লেখার জন্যে তিনি দেশ ও বিদেশে বিশেষভাবে সম্মানিত হয়েছেন। সৃষ্টিশীল গবেষণা ও আলেখ্য রচনার জন্য ‘মহাকাল কৃষ্টি চিন্তা সংঘ স্বর্ণপদক’, জাতীয় সাহিত্য সংসদ স্বর্ণপদক অর্জন করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতি, ঢাকার পক্ষ থেকে জেলার কৃতি এই সন্তানকে গুণীজন সম্মাননা প্রদান করা হয়। শিক্ষাক্ষেত্রে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১৯৯২ সালে একুশে পদক, মাইকেল মধুসুদন দত্ত গোল্ড মডেল, শেরে বাংলা স্মৃতি স্বর্ণপদক, ঢাকা সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক স্বর্ণপদক, বাংলাদেশ যুব ফ্রন্ট গোল্ড মেডেল, রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন ফোরাম স্বর্ণপদকসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বহু পুরস্কার-সম্মাননা অর্জন করেন।

তাঁর মৃত্যুতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতি, ঢাকার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহা. উজির আলীসহ নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। মরহুমের মৃত্যুতে দেশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ একজন গুণী মানুষকে হারালো।

দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে তুলনামূলক রাজনীতি, প্রশাসন-ব্যবস্থা, বাংলাদেশের রাজনীতি, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি, দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক বাহিনী সম্পর্কে গবেষণা করে চলেছেন।

এসব ক্ষেত্রে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় তিনি বিশেষজ্ঞ হিসেবেও প্রখ্যাত। তার লিখিত গ্রন্থের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। দেশ বিদেশের খ্যাতনামা জার্নালে তার প্রকাশিত গবেষণামূলক প্রবন্ধের সংখ্যাও শতাধিক।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি মো: আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.