বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়া আগামী দশকের মধ্যে চাঁদে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করছে, যা তাদের চন্দ্র মহাকাশ কর্মসূচি এবং রাশিয়া–চীনের যৌথ গবেষণা কেন্দ্রকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ প্রতিযোগিতায় নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতেই এই উদ্যোগকে রাশিয়ার একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মহাকাশ সংস্থা রসকসমস জানিয়েছে, তারা ২০৩৬ সালের মধ্যে চাঁদে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্যে দেশটির মহাকাশ প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান লাভোচকিন অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।
রসকসমসের মতে, প্রস্তাবিত এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র চন্দ্র রোভার, একটি মানমন্দির এবং রাশিয়া–চীনের যৌথ আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণা কেন্দ্রের অবকাঠামোসহ চন্দ্র কর্মসূচির বিভিন্ন অংশে শক্তি জোগাবে।
এক বিবৃতিতে রসকসমস জানায়, “এই প্রকল্পটি একটি স্থায়ী ও কার্যকর বৈজ্ঞানিক চন্দ্র কেন্দ্র গড়ে তোলার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি এককালীন মিশনের যুগ থেকে দীর্ঘমেয়াদি চন্দ্র অনুসন্ধান কর্মসূচিতে রূপান্তরের সুযোগ তৈরি করবে।”
যদিও রসকসমস আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে ‘পারমাণবিক’ বলে উল্লেখ করেনি, তবে প্রকল্পটির সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটম এবং শীর্ষ পারমাণবিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কুরচাটভ ইনস্টিটিউটের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালে সোভিয়েত মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিন প্রথম মানুষ হিসেবে মহাকাশে পা রাখার মাধ্যমে রাশিয়াকে মহাকাশ অনুসন্ধানে শীর্ষ শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তবে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্রমবর্ধমানভাবে চীনের তুলনায় এই ক্ষেত্রে রাশিয়ার অগ্রগতি কিছুটা ধীর হয়ে পড়েছে। #















