চলার পথে

সিলভীয়া মোশিউর: যে কোন রহস্যময়তার পিছনে পিছনে হাটা আমার একটা সভাব। মানুষ যত সুন্দর হ’ক না কেন রহস্যময়তার বাতাবরণ না থাকলে তার ব্যক্তিত্ব আমায় কখনো টানে না । রেড ব্রিজ থেকে ৩০ কিমি দুরে countryside এপিং ফরেস্ট পার হয়ে কোন এক কারণে কয়েকবার যেতে হয়েছিল ।

কিছুক্ষণ নির্জন বনের মধ্যে দিয়ে আঁকাবাঁকা পথটা পার হয়ে শুরু হয় দু দিকমাইলের পর মাইল বিস্তর মাঠ। আশেপাশে কোন বাড়ি নাই ,মানুষ নাই , কালেভাদ্রে দু একটা দ্রুতগামী গাড়ি দেখা গেলেও ভিতরে মানুষর আকৃতি বোঝা মস্কিল ।

যথারীতি আমার তিনি সাহেবের কফি পানের ইচ্ছে জাগলো – এই নির্জনতায় আকু বাকু চাইনিজ লেখা একটা সপে গিয়ে দেখা গেল ভিতরটা আরো শুনশান নিরবতা। যাইহোক তিন চার বার হেলো – এক্সিউজমি পর সাদা গাত্রবর্ণ,পিঙ্গলকেশ আর সাপের মত স্থির দুটো চোখ মৃত্যুর মত রহস্যময়ী (৩০ -৩৫ বয়স )একটা মেয়ে বের হয়ে এলো এবং কফি পাওয়া গেলো ।

চেহারায় সর্পতান্ত্রিক ভাব – চলা যেন বুনো নদীর মত । কৌতুহলী মন আমার সাভাবিক ভাবে কথা বলতে গেলাম – অক্ষর জ্ঞানহীন এই নারী নানা রকম বিচিত্র ভাষা , ভঙ্গীতে দুলেদুলে দূর্বোধ্য সর্পতন্ত্রের মতো ইংলিশ চাইনিজ কি কি বলে যাচ্ছিল যার একবর্ণও আমি বুঝি নি।

তবে মেডিটেশনে পারদর্শিতা অর্থাৎ quantum ভুবনে দক্ষতা তার অপরিসীম, এবং the quantum snake walk, সব ই সে জানে – মহাকাল কালনাগিণী quantum বিদ্যা জ্ঞান ও তার রক্ষিত আছে অপ্রকটভাবে , যা দেখা বা পাওয়ার যোগ্যতা আমার আয়ত্তের বাইরে – সব ই তার কাছে শুনা এবং সত্যি – কারণ এরা মিথ্যা বলে না ।

প্রায় দু ঘন্টা সময়ে অনেক কথা শুনে , এই অক্ষর জ্ঞানহীন মেয়েটার , সাধারণ জ্ঞানের পরিধি দেখে আমি অবাক্ এবং মুগ্ধ । সত্যি সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি যেমন রহস্যময় তেমনি মনোমুগ্ধকর।

ফিরে আসার পরে আমাদের মনে হয়েছিল মেয়েটি আসলেই সর্পতান্ত্রিক এক বিষাক্ত নাগবতী,দুই সবুজ চোখে শক্ত বিষ ভরা আছে তার এরপর আরো নতুন কিছু জানা বা শিখার জন্য ঐ চাইনিজ মেয়েটার খোঁজে কয়েকবার গিয়েছিলাম কিন্তু সে আর আমাদের দেখা দেয় নি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.