চলনবিলে বন্যার আগেই খালের মুখ আটকিয়ে মা মাছ নিধন


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিলের নিচু এলাকায় খাল ও ছোট নদীতে এখন এসেছে আষাঢ় মাসের নতুন পানি। সেই পানিতে বিচরণ করছে বোয়াল, শোল, টেংরা, পুঁটি সহ নানা রকম দেশী প্রজাতির মা মাছ। সারা আষাঢ় মাস জুড়ে ডিম ছাড়ে এই মা মাছ। যা পরে বিলে বন্যার পানিতে বংশ বিস্তার করে।
বন্যার আগেই স্বল্প পানির এসব ছোট নদী ও খালের মুখে বাঁশের তৈরী বানার বেড়া দিয়ে মাছ চলাচলের পথ আটকিয়ে নানা রকম ফাঁদ পেতে এসব মা মাছ নিধন করছেন এক শ্রেনীর মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে সিংড়া-বারহাস রাস্তা সংলগ্ন তিশি খালী খালের ব্রীজে দেখা যায় এক মৎস্যজীবি মাছ চলাচলের সম্পুণ পথ আটকিয়ে মা মাছ নিধন করছেন।
উপজেলার ডাহিয়া গ্রামের ব্রীজের নীচে বড় ছিলা খালে একই কায়দায় মাছ নিধন করছেন আরও দুই মৎস্যজীবি। মৎস্যজীবিরা জানায় এতদিন তারা বসেই ছিলেন। বিলের নীচু খালে নতুন পানি আসায় মাছ ধরা পড়ছে প্রচুর। তাই তারা মাছ শিকার করছেন।
ডাহিয়া বাজারের হোমিও চিকিৎসক আবু কাওছার ও বেড়াবাড়ি গ্রামের আনোয়ার হোসেন জানান, বন্যা আসার এই আগ মৌসুমে বেড়াবাড়ির খালেও ধুন্দি, বিত্তি, কারেন্টজাল সহ নানা ফাঁদ পেতে মাছ ধরা হয় প্রতিবছর। এছাড়া ওই খালে অবাধে বড় বড় বোয়াল মাছও ধরা হয় প্রচুর।
আষাঢ় মাসে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি নামলে সাধারণত মা বোয়াল মাছ ডিম ছাড়তে পানির ধারে উঠে আসে। আর এই সুযোগে এক শ্রেণীর মানুষ দলবেঁধে জোঁত কুঁচ, পালা সহ নানা ফাঁদ দিয়ে এই মা বোয়াল মাছ নিধন উৎসবে মেতে উঠে।
পরিবেশ ও প্রকৃতি আন্দোলনের সভাপতি মোল্লা এমরান আলী রানা বিটিসি নিউজকে বলেন, দেশী প্রজাতি মাছের যে আকাল যাচ্ছে তাতে চলনবিলে এই সময়ে এসব মা মাছ নিধন একেবারেই বন্ধ করা দরকার।
মৎস্য অধিদপ্তর, প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের এবিষয়ে জোরালো নজরদারীর পাশা পাশি বিলের মা মাছ রক্ষায় স্থানীয় মৎস্যজীবিদের বিবেক থেকেই এসময়ে যে কোন ধরনের মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা জরুরী।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার শাহাদত হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, চলনবিল সহ মিঠা পানির মা মাছ রক্ষায় ইতোমধ্যে আমরা ৫টি অভিযান পরিচালনা করেছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.