চলনবিলের মা মাটি মানুষের আস্থার প্রতিক পলক

বিশেষ (নাটোর) প্রতিনিধি: রুদ্র নীল—লেখনীটি রাজনৈতিক কোন আঙ্গিক থেকে নয়। কিংবা তোষামেদ বা দালালি করার জন্য লেখা হয়নি।। ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তো নয়ই। আমার সাথে রাজনৈতিক মতপার্থক্য রয়েছে।

তবুও সত্য বলতে এক ধাপ পিছ হবার মানুষ না আমি। সাদাকে সাদা বলে আর কালোকে কালো বলে অভ্যস্ত। একেবারে পেশাদার সাংবাদিক ও নাটোরের সাধারন ছেলে হিসেবে গণমানুষের কথা বলছি -বা লিখেছি।

আমরা তো ভালো কাজের প্রশাংসার চেয়ে লোক নিন্দা নিয়ে বেশি ব্যস্ত । দেশ ও জনগণের বিপদে আপদে-সুখে অসুখে যে মানুষগুলো নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের পাশে থাকে বিপদ ফুরালে আমরা নূন্যতম কৃতঞ্জতাও প্রকাশ করি না ।

সুনাম তো দূরের কথা । তবে চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া মানুষ উপকারী উপার স্বীকার করতে কার্পন্য করেননা । একজন মানবিক নেতা পেয়ে তারা ধন্য । যাই হোক এবার আসি আসল কথায়। কথায় আছে, “বিপদে বন্ধুর পরিচয়। আর জনগণের বিপদে আপদে – সুখে অসুখে পরিচয় প্রকৃত জননেতার।

একজন প্রকৃত জননেতার প্রতিকৃতি নাটোর-৩ সিংড়া আসনের সংসদ সদস্য এবংতথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্মেদ পলক এম পি ৷

২০১৭ ভয়াবহ বন্যায় হাটু পানি,কোমড় পর্যন্ত পানি পেরিয়ে দূর্গত মানুষের বিপদের সাথী হয়েছেন । আশ্রয় কেন্দ্র খুলে হাজার হাজার মানুষের তিনবেলা খাদ্য,চিকিৎসা,পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করেছেন ।

আবার ,করোনা,আম্পান,আবার চলতি বন্যায় পলকের অগ্রণী ভূমিকায় প্রশাংসায় পঞ্চমুখ সিংড়ার মানুষ । তারা গর্ব করে বলেন,প্রকৃত জনগণের এমপি মন্ত্রী দেখতে হলে নাটোরের সিংড়ায় আসুন।

পলক হচ্ছে বাংলাদেশের জনরাজনীতির “রোল মডেল”। বন্যারবন্যপ্রবণ চলনবিলের মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছেন তিনি।সুখে অসুখে, বিপদে আপদে পলক চলনবিলবাসীর আস্থার প্রতিক। বন্য আসলেই হাটু পানি,মাঝাপানি কিংবা গলাপানি পেরিয়ে তিনি চলে যান জনগণের দোড়গোড়ায়।

খাদ্য, আশ্রয়, চিকিৎসা এবং বন্য পরবর্তী পূর্ণবাসনসহ সব ক্ষেত্রে তিনিই সরজমিনে থেকে নেতৃত্ব দেন। তিনি কথায় নয় কাজেই বিশ্বাসী। তাই সিংড়াবাসী বলতে পারেন ” সুখে দুখে যাকে পাই, সে আমাদের পলক ভাই” দীর্ঘদিনের অবহেলিত চলনবিলের সিংড়ায়

উন্নয়ন কর্মকান্ড করে চলনবিলের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করেছেন। চলনবিল দেশের অন্যতম খাদ্য ও মৎস্য ভান্ডার।

কৃষি,মৎস্য, যোগাযোগ,শিক্ষা,স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, কর্ম সংস্থান সকল ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়ন করে মানুষের আস্থার প্রতিকে পরিণত হয়েছে। চলনবিলকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন।আজ কৃষকরা ফসলের ন্যায্য মূল্য যেমন পাচ্ছেন ।

চলনবিলের মাছ আজ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেই রপ্তানী হচ্ছে ।।।। নাটোর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে সিংড়ায় । তাই অনেককে বলতে শোনা যায়, নাটোর জেলার রাজধানী সিংড়া। যে দিব্য প্রাণের ক্ষণিক সঞ্চালনে প্রকৃতি থমকে দাঁড়ায়, গতিপথ বদলায়, কথা বলে, চলনবিলের সেই প্রাণের নেতা, সিংড়ার উন্নয়নের গ্রাফিক্স ডিজাইনার,বিশ্বের অন্যতম দক্ষ ও যোগ্য যুব নেতা সফল আইসিটি মন্ত্রী জননেতা এডভোকেট জুনাইদ আহম্মেদ পলক৷। চলনবিলের গনমানুষের নেতা।।।

চলনবিলের মহানায়ক। চলনবিল উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা।। তুমি এই চলনবিলে জন্মে ছিলে বলেই আজকে এই উন্নয়নের মহাসড়কে আমাদের চলনবিল এলাকা। উন্নয়ন কে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পলকের সুযোগ্য নেতৃত্ব। আমাদের নাটোরবাসীর অহংকার পলক করোনা যুদ্ধ,আম্পান এবং চলতি বন্যায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক -এমপি’র ভূমিকায় মুগ্ধ সিংড়া বাসী! রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করে বড় নেতা হয়।।

তবে জননন্দিত নেতা, মাটি ও মানুষের নেতা হতে হলে যোগ্যতা, পরিশ্রম, মেধা এবং ত্যাগ ও বিসর্জনের প্রয়োজন হয়। এসব গুণগুলো বহমান পলক -এমপি মধ্যে। চলনবিলের শান্তিকামী সাধারণ জনতার “জন্ম-জন্মান্তরের আশীর্বাদ”-‘অহংকার’ পলক এ মাটির বরেণ্য পুত্র, আত্রাই নদীর বিধৌত পলি মাটির ভূমি সন্তান- আপনার প্রতিঋণ স্বীকার করছি- এ জনপদের প্রতি- এ মাটির প্রতি- চলনবিলের রাজধানী খ্যাত সিংড়া অঞ্চলের প্রতি –তুমি আজন্ম উদারচিত্তে নিরলস কর্মী হয়ে মানবতার কাজে উদ্ভাসিত করে চলেছো । রাজনীতিতে পক্ষ–বিরুদ্ধ পক্ষ থাকবে- ইহাই অলংকার। আবার দল–উপদল থাকবে তাও বৈশ্বিক ফ্যাশন।

কিন্তু একজন মানুষকে তাঁর কৃত জনস্বার্থ মানবতার ধর্মী কাজ তাঁকে রাজনীতির বিচার থেকেও মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করে সমাজ। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন মানুষকে ভালবেসেছেন- মানুষের জন্য কাজ করেছেন। জননেত জুনাইদ আহমেদ পলকের প্রতিঋণ থেকেই লেখা। বিশ্ব মানবতা আজ বিপন্ন? মিথ্যে মানবতা আজ উৎকন্ঠতার কাছে দায়বদ্ধ।

বৈশ্বিক মহামারী প্রাণঘাতি Covid-19 করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যখন স্বপ্নের সোনার বাংলার ৫৬ হাজার বর্গমাইলের পূণ্য ভূমিকে গ্রাস করেছে ঠিক তখনই মানবতার পলকের সুযোগ্য নেতৃত্বে প্রশাসন, ডাক্তার, পুলিশ, রাজনীতিবিদ ও সমাজের বিত্তশালী মানুষ যার যার সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন রাত কাজ করছেন তিনি।

পরবর্তীতে আম্ফান এবং চলতি বন্যায় তিনি নিজের নির্বাচনী এলাকায় মাঠে থেকে তিনি যা করেছেন এবং করছেন তা সত্যিই প্রশাংসার দাবী রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় সিংড়ায় এখনও করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বন্যাদুর্গত মানুষদের ব্যাপক ভাবে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা এবং সিংড়ায় যেখানেই থাকুক না কেন তিনি সকল কার্যক্রমের দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।। এ জনপদের অহংকার, মেধাবী ও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম নেতা এবং বিশ্ব রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র পলক এমপি।

প্রতিদিন সকল কার্যক্রমের খবর নিচ্ছেন ও সেই সাথে দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা। বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার পরিবারকে ত্রান সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। অব্যাহত রেখেছেন ত্রান কার্যক্রম। এছাড়া বন্যার্তদের জন্য খুলেছেন বেশ কয়েকটি আশ্রয়স্থল। যেখানে শত শত মানুষের থাকা,তিনবেলা খাওয়া,চিকিৎসা ব্যবস্থা তিনি করেছেন।

ইতিপূর্বেই যখনি চলনবিলের সিংড়ায় বন্যা আঘাত এনেছে তখনি মানুষের পাশে থেকে বিপদের সাথী হতে পলক ছুটে গেছেন । শুধু কি তাই? পলকের সহধর্মিণী, সিংড়া উপজেলার শিক্ষার আলোকবর্তিকা মানুষ গড়ার কারিগর আরিফা জেসমিন কনিকা সিংড়াবাসীকে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। নীরবে নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেনএ চলনবিলবাসীর মহীয়সী নারী।তোমার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতা।

দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের পথে হাঁটা বরেণ্য রাজনীতিবিদ জুনাইদ আহম্মেদ পলকের প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনা’য় সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, ১২ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে সাথে সচেতনতা বৃদ্ধি ও ব্যাপক ত্রান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।।

যা ইতিমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছে। যোগ্য নেতার যোগ্য নেতৃত্ব। কে আছে এমন,যেখানে প্রতি পদক্ষেপে থাকে কিছু নতুনত্ব। অসাধারণ নেতৃত্ব গুণ,অত্যন্ত মেধাবী,বিচক্ষণ,বাগ্মিতা, আর দূরদর্শী নেতা আমার স্নেহের ভাই পলক।। চলনবিলবাসীর অহংকার।।

চলনবিল বাসীর হৃদয়ের স্পন্দন প্রাণের নেতা।।গরিব-দুঃখি,অসহায় খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের-আস্থা ও ভালোবাসার শেষ আশ্রয়স্থল-গণ-মানুষের জননেতা পলক এমপি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (নাটোর) প্রতিনিধি মো. নাসিম উদ্দিন নাসিম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.