চলতি বছরেই শেষ হবে সিটি সেন্টারের নির্মাণ কাজ

:লীগ প্রতিবেদকপাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) এর আওতায় মহানগরীর সোনদীঘীর মোড়স্থ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্মাণাধীন ‘সিটি সেন্টার’ এর কাজ চলতি বছরের মধ্যে শেষ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে নগরভবনের মিনি কনফারেন্স রুমে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে সিটি সেন্টারের কাজের অগ্রগতি বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করতে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দেন। এ সময় নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এনা প্রোপার্টিজ এর স্বত্বাধিকারী এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক চলতি বছরের মধ্যে সিটি সেন্টারের নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এনা প্রোপার্টিজ এর স্বত্বাধিকারী এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, চলতি বছরের মধ্যে আমরা সিটি সেন্টারের নির্মাণ কাজ শেষ করতে চাই। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা পেলে আশা করছি এই বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
মতবিনিময় সভায় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আজকের এই সভায় নতুন যাত্রা শুরু হলো। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান আমাদের যে আশাবাদ ব্যক্ত করলেন, তাতে আমরা আশ্বস্ত হলাম। আশা করছি এই বছরের মধ্যে সিটি সেন্টারের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

মতবিনিময় সভা আরো উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র ও বতর্মান ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযিম, ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম তজু, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল আব্দুল সোবহান, ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহমেদ, ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার, ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাতাব হোসেন চৌধুরী, ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল আনোয়ারুল আমিন, ২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল হাসান, সচিব ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম,প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক, তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাসার প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আয় বাড়াতে ২০০৯ সালে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র থাকাকালীন সময়ে সিটি সেন্টারসহ তিনটি বাণিজ্যিক বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে বিএনপির মেয়র মোসাদ্দেকল হোসেন বুলবুল দায়িত্ব নিলে সব কাজ থেকে যায়। সর্বশেষ ২০১৮ সালেরর ৩০ জুলাই নির্বাচনে বিপুল ভোটে খায়রুজ্জামান লিটন দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ভবনগুলো নির্মাণ কাজের গতি আনার উদ্যোগ নেন তিনি। #( প্রেস বিজ্ঞপ্তি )#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.