চন্দ্রবাবু নায়ডুর গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে হরতাল, পথে পথে বিক্ষোভ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুকে জেল হেফাজতে পাঠানো নিয়ে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ল অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায়। সোমবার রাজ্যজুড়ে হরতালের ডাক দিয়েছিল নায়ডুর দল তেলুগু দেশম পার্টি। সকাল থেকেই পথে নেমে গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ শুরু করেন দলের সদস্যরা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে দলের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের জনজীবন এখনও স্বাভাবিকভাবেই চলছে।
রবিবারই ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার হরতাল ডাকে টিডিপি। সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় পথে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন টিডিপি সমর্থকরা। গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া থেকে শুরু করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ-সমস্ত কিছুতেই জড়িয়ে পড়েন তারা। সকাল থেকে বহু দলীয় কর্মী-সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
অশান্তি এড়াতে টিডিপির বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে গৃহবন্দি করে রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন।
অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিজি শঙ্খব্রত বাগচী বলেন, ‘আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পরিস্থিতি বিচার করেই স্থানীয় প্রশাসন বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।’ যদিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জেল যাত্রার খবর পেয়েই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন অন্ধ্রপ্রদেশের পর্যটনমন্ত্রী রোজা।
সূত্রের খবর, সোমবার বিকালে বিজয়ওয়াড়া পৌঁছবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডি। প্রসঙ্গত, বিজয়য়াড়ার আদালত থেকেই চন্দ্রবাবু নায়ডুকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার তেলুগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবুকে গ্রেপ্তার করে নান্দিয়াল পুলি। পূর্ব গোদাবরী জেলায় তার ছেলে নারা লোকেশকেও আটক করে অন্ধ্র পুলিশ। ২০২১ সালে স্কিল ডেভলপমেন্ট দুর্নীতির মামলায় চন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।
গ্রেপ্তারির পর শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত চলে জিজ্ঞাসাবাদ। রবিবার সকালে তাকে বিজয়ওয়াড়ার দুর্নীতি বিরোধী আদালতে পেশ করা হয়। বিচারপতি তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকবেন নায়ডু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.