চতুর্থ স্থানে বাংলার অর্থনৈতিক বৃদ্ধি

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক হাল দেশের মধ্যে চতুর্থ।
২০২০-২১ অর্থবর্ষের খতিয়ান: নেট ভ্যালু অ্যাডেড অনুযায়ী রাজ্যের কৃষিক্ষেত্রের উৎপাদন ২,৬ লক্ষ কোটি টাকার। এক বছরে প্রায় ২০হাজারকোটির টাকার উৎপাদন বেরেছে বেরেছে ।উৎপাদন শিল্প থেকে পণ্য ১,২ লক্ষ কোটি টাকার।
নির্মান শিল্প ৮ হাজার কোটি বেড়ে হয়েছে প্রায় ৭৫হাজার কোটি টাকার। আবাসন ও অন্যান্য ক্ষেত্রের উৎপাদন ১,৩৫ লক্ষ কোটিতে পৌঁছেছে।এক বছরে বেড়েছে ১৫কোটি।
ট্রেড,হোটেল,রেস্টুরেন্ট ব্যবসা প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার।
অর্থনীতির সহজ ব্যাখ্যায় ,রাজ্যের মোট উৎপাদন বা জি ডিপি থেকে ট্যাক্স বাদ দিলে পাওয়া যায় ‘গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড ‘। তার থেকে আরও কিছু উৎপাদন বাদ দিয়ে ‘নেট ভ্যালু অ্যাডেড’ বা এন ভি এর  হিসেব কষা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই জি ডি পি থেকে এন ভি এর অঙ্ক কম হয়।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে তথ্য প্রকাশ করেছে,তাতে এন ভি এর নিরিখে দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রাজ্য। বাজার দর অনুযায়ী বর্তমান বাংলার মোট এন ভি এর পরিমান ১১লক্ষ ৪ হাজার ৮৬৬কোটি টাকা। ২০১৯-২০সালে তা ছিল ১০ লক্ষ ১৮ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা। অবশ্য এর আগে রয়েছে তামিলনাড়ুর,উত্তরপ্রদেশ ও কর্ণাটক।
২০১১ সালে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছিলেন সেই সময়ের তুলনায় আড়াই গুন বেড়েছে রাজ্যের এন ভি এ। এই রিপোর্ট পেশ করছে খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
অ্যাডভান্স এস্টিমেট অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রাজ্যের মোট উৎপাদন বা জি ডি পি র পরিমান প্রায় ১৩লক্ষ কোটি টাকা। তার আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা বেশী। অর্থাৎ জি ডি পি র নিরিখে রাজ্য  যে অনেকটাই এগিয়ে সেই তত্ত্বকেই সিলমোহর দিচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী মাননীয় শ্রী অমিত মিত্র বলেন সাধারণ মানুষের কাছে নগদের জোগান বাড়িয়েই বাজিমাত করেছে মমতা ব্যানার্জীর সরকার।
তিনি আরও বলেন,আমেরিকা,ব্রিটেন বা জাপান আজ যে অর্থনীতির মডেলে চলছে এ রাজ্যে আমরাও সেই নীতি নিয়েছি। একদিকে বিভিন্ন প্রকল্পে মানুষের হাতে বেশি নগদ টাকা আসছে,অন্যদিকে সেই টাকা মানুষ খরচ করার ফলে বাজারে পণ্যের চাহিদা তৈরি হচ্ছে। এতেই সচল হচ্ছে রাজ্যের অর্থনীতির চাকা।
কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য চেষ্টা করছে আর্থিক ছাড় দিয়ে,লগ্নি বাড়িয়ে দেশের ব্যাঙ্ক তথা কর্পোরেট সংস্থা গুলোর পুনর্জীবন করা। কিছু ক্ষেত্রে অনেকটাই কর ছাড় দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.