চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:চট্টগ্রামে নদী ও সাগরে ডাকাতি করা সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের আট সদস্যকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লুট হওয়া মোবাইল ও উদ্ধার করা হয়েছে। মূলত ফিশিং বোটকে টার্গেট করে ডাকাতি কার্যক্রম চালায় বলছে পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মাছ ধরার নৌকা ও ধারালো অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার তাদের
গ্রেফতার করা হলেও আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেল্লন করো নৌপুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
নৌপুলিশের সহকারী কমিশনার সাঈদ ইবনে রেজা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা জানিয়েছেন নৌযানটির মালিক হরি চন্দ্র দাস। তার নেতৃত্বে মাছ ধরার নৌকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। আসামিদের নৌযানে তল্লাশি করে ২টি রামদা, ১টি লোহার তলোয়ার, বল্লম, লোহার রড ও শাবল উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন তাঁরা নামমাত্র মাছ ধরার জন্য নৌযান নিয়ে সাগর-নদীতে যান। কিন্তু মাছ না ধরে বিভিন্ন নৌযান আটকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মাছ, মাছ ধরার জাল, মুঠোফোনসহ বিভিন্ন জিনিস ও নগদ টাকা লুট করেন। এর আগে সাগরের সন্দ্বীপ, হাতিয়া, কুমিরা উপকূলে বিভিন্ন নৌযানে ডাকাতি করেছেন।
গত কিছুদিন ধরে সন্দ্বীপ, হাতিয়া, কুমিরা চ্যানেলের বঙ্গোপসাগরসহ চট্টগ্রামের পতেঙ্গা, কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং বোট টার্গেট করে ডাকাতি করছে সংঘবদ্ধ চক্র। এমন একটি ডাকাত চক্রের সন্ধান পেয়ে শনিবার রাতে অভিযান চালায় নৌ পুলিশ। পুরাতন ফিশারিঘাট এলাকায় দুটি ফিশিং বোটে অভিযান চালিয়ে সাত ডাকাতকে হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় পুলিশ। এ সময় ফিশিং বোট হতে রাম দা, দা,লোহার তলোয়ার, সাতটি লোহার রড সহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের সময় নদীতে লাফ দিয়ে আরও ৮ থেকে ১০ ডাকাত পালিয়ে যায়। পরে গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সদরঘাট গোল্ডেন স্টার হোটেলের চতুর্থ তলা থেকে ডাকাত দলের সর্দার হরি চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করা হয়।
নৌ পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া ডাকাত দলের সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি। ডাকাত চক্রের মূল হোতাসহ কয়েকজনের বাড়ি সন্দ্বীপ এলাকায়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মো. মোতাহার আলী। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.