ঘোড়ার পিঠে চড়ে ‘ভিক্ষা’ করেন বাচ্চা মিয়া!

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: বাংলায় প্রবচন আছে- ‘ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ্দ হাঁটিয়া চলিল’। ঠিক সেরকম না হলেও- ‘ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ্দ ভিক্ষা করিতে গেল’-এ কথারই বাস্তব উদাহরণ হচ্ছে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের বাচ্চা মিয়া (৬৭)।
তিনি ঘোড়ায় চড়ে ভিক্ষা করেন।এভাবে ভিক্ষাবৃত্তির একটা কারণও আছে। তিনি বয়সের ভারে হাঁটতে পারেন না বলে তাকে ঘোড়ায় চড়ে ভিক্ষা করতে হয়। আর এভাবে ভিক্ষা করে পরিবারের ভরণ-পোষণ মেটাতে হয় বাচ্চা মিয়াকে।
তাঁর দুই মেয়ে এক ছেলে রয়েছে। শেষ বয়সে তাদের কেউ খোঁজ-খবর রাখেন না। তাই জীবনের তাগিদেই বাচ্চা মিয়াকে ভিক্ষাবৃত্তিতে নামতে হয়। কারণ, তাকে এ বয়সে কাজ দেওয়ার মতো কেউ নেই।
গত ৫বছর আগে ভিক্ষার টাকা জমিয়ে ঘোড়া কেনেন বাচ্চা মিয়া। ঘোড়ায় চড়েই মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভিক্ষা করেন তিনি। প্রতিদিন ভিক্ষা করে তার আয় হয় ৩শ থেকে ৪শ টাকার মতো। এতে বেশ ভালোই চলছে বাচ্চার সংসার।
ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নেওয়ার বিষয়ে বাচ্চা মিয়া বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান , ‘কেউ কি আর ইচ্ছা করে ভিক্ষা করে? কেউ কি আর ইচ্ছা করে ভিক্ষুকের জীবন বেছে নেয়! বাধ্য হয়েই এ পেশাতে আসতে হয়েছে আমায়!’ 
তিনি আরও বলেন, ঘোড়াটাই তার সন্তান। শেষ বয়সে বাবা-মা যেমন সন্তানদের অবলম্বন ভাবে, ঘোড়াটাও তার কাছে তাই। ঘোড়াটা আছে বলেই ঘরে চুলো জ্বলে।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.