ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝালকাঠিতে ৬০ গ্রাম প্লাবিত

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকুলীয় জেলা ঝালকাঠিতে আজ সোমবার সকাল থেকে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত এবং দমকা হাওয়া বইছে। সকাল থেকে বৃষ্টির প্রভাবে জেলার অনেক গ্রামের নিমাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে।
জেলার কাঠালিয়া উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। আমুয়া বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টির কারণে নদী ভাঙনের খবরও পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও জেলার চারটি উপজেলার নিন্মাঞ্চলের প্রায় ৬০টি গ্রামে পানি ঢুকেছে বলে জানা গেছে।
বৈরি আবহাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট ফাঁকা রয়েছে, দোকানপাট, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কিছু গাছপালার ক্ষতি হয়েছে। জেলায় ভোররাত থেকে বিদুৎ সরবারাহ বন্ধ এবং নেট সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
সিত্রাং মোকাবিলায় ঝালকাঠিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এ বৈঠক হয়েছে। জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, স্বেচ্ছাসেবক, চিকিৎসক ও পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরিফুর রহমান, ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র লিয়াকত আলীসহ প্রশাসন ও রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অটোরিকশাচালক ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে পানি উঠেছে। বাইরে তেমন লোকজন নেই। পেটের টানে বৃষ্টির মধ্যে অটো রিকশা নিয়ে রাস্তায় নেমেছি।’
সুগন্ধা নদী পাড়ের বাসিন্দা সালমা বেগম বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘আমরা নদীর পাড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বসবাস করি। বৃষ্টি বন্যার সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ করেই দিন চলে। বৃষ্টি বন্যা হলেই আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়।’
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক জোহর আলী বিটিসি নিউজকে বলেন, জেলায় ত্রাণ হিসেবে শুকনো খাবার মজুদ নেই। তবে টাকা ও অন্যান্য সব ব্যবস্থা রয়েছে। ৪ লাখ মানুষ আশ্রয় দেওয়ার জন্য আশ্রায়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৬১টি সাইক্লোন শেল্টারসহ ৪ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া জরুরি একাধিক টিমসহ সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঝালকাঠি প্রতিনিধি মো. মেহেদী হাসান মেহেদী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.