ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র প্রভাবে মোড়েলগঞ্জে পানি বৃদ্ধি, এমপির আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন

মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র প্রভাবে নদী ও খালের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে পৌরসভা সদর বাজার, হাসপাতাল, উপজেলা পরিষদ, খাদ্যগুদাম এলাকাসহ বহু জনগুরুত্বফর্ণ এলাকা ও স্থাপনা প্লাবিত হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে শতশত পরিবার।
সদর ইউনিয়নের গাবতলা ও কাঠালতলা, নিশানবাড়িয়া গ্রামের ৫ শতাধীক মানুষ নিকটবর্তী শাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য অধীক ঝুকিপূর্ণ এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯ টার পর থেকে জোয়ার শুরু হলে পানগুছি  নদীতে পানি বাড়তে থাকে।  বেলা ১টার দিকে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৬ফুট পানি বেড়ে যায়। পানগুছি নদীর তীরবর্তী খাউলিয়া, কুমারখালী, সন্নাসী, গাবতলা, কাঠালতলা, সানকিভাঙ্গা, বদনী ভাঙ্গা, বারইখালী,  শ্রেণিখালী, ফুলহাতা, বহরবুনিয়া, ঘসিয়াখালী গ্রাম সকালের  জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে। বিকেল থেকে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন, উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. শাহ্-ই-আলম বাচ্চু ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন অধীক ঝুকিপূর্ণ এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছেন।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পূর্ণ জোয়ারে নদ-নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করেছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেষ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিফাত আল মারুফ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, মোড়েলগঞ্জে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৬ ফুট পানি বেড়েছে। ঝড় হলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।
এ সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস  মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সবধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য ৮৩টি আশ্রয় কেন্দ্র্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর মোড়েলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি এম.পলাশ শরীফ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.