ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব আমতলীতে বাঁধ ভেঙ্গে ২৭ গ্রাম প্লাবিত

বরগুনা প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পায়রা নদীতে জোয়ারের পানি বাড়ায় আমতলী ও তালতলী বাঁধসংলগ্ন অন্তত ২৭ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে শত শত পুকুরের মাছ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে জোয়ারের সময় বাঁধ ভেঙে এসব গ্রাম প্লাবিত হতে শুরু করে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে আমতলীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরের আরপাঙ্গাশিয়া, তারিকাটা, লোছা, বৈঠাকাটা, বাসুগি, নয়াভাঙ্গলী, ফেরিঘাট, খাদ্যগুদাম সংলগ্ন চর, ওয়াপদা চর, পশ্চিম ঘটখালী, আংগুলকাটা, গুলিশাখালীর জেলেপারা তলিয়ে গেছে। তালতলী উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে মরানিদ্রা, আগাপাড়া, মেনিপাড়া, গোড়াপাড়া, অংকুজানপাড়া, মোয়াপাড়া, নামিশেপাড়া, ছোবাহাপাড়া, খোট্টারচর, জয়ালভাঙ্গা, আশারচর, তেতুল বআড়িয়া, জয়ালভাঙ্গা, সকিনা, আমখোলাসহ দুই উপজেলার শতাধিক কাঁচা ঘড়বাড়ি তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
আমতলীর আরপাঙ্গাশিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান সোহেলী পরভীন মালা জানান, পায়রা নদীতে পানি বাড়ায় পশুর বুনিয়া গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের প্রায় ৩শ’ ফুট ভেঙ্গে যায়। এর ফলে বালিয়াতলী ও পশুরবুনিয়া গ্রাম ২-৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের গাফেলতির কারণে বাঁধ ভেঙ্গেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হিমেল বিটিসি নিউজকে বলেন, আমতলীর পশুরবুনিয়া বাঁধ দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তালতলী উপজেলার তেতুর বাড়িয়া বন্যানিয়ন্ত্রণ বাধে ৩-৪ জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় সেখানকার কয়েশ পরিবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি মাপক মো. আবুল কালাম বিটিসি নিউজকে জানান, রেমালের প্রভাবে আমতলীর পায়রা নদীতে রবিবার সকাল থেকে ৪-৫ ফুট বিপদ সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা বিটিসি নিউজকে জানান, ঘূর্নিঝড় রেমালের প্রভাবে তেতুল বাড়িয়া বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধ ঝুকির মধ্যে রয়েছে। আমি গতকাল বিকেলে সরেজমিন ঘুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জানিয়েছি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মাদ আশরাফুল আলম বিটিসি নিউজকে জানান, আমি সরেজমিন পরিদর্শন করে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। এবং ভাঙ্গা বাঁধে জিওব্যাগ ফেলে পানি বন্ধের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানিয়েছি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বরগুনা প্রতিনিধি মো. শফিকুল ইসলাম শফিক। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.